অবন্তিকার 'আত্মহত্যা': বিচারের দাবিতে উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যানারে বিক্ষোভ। ছবি: স্টার

'ফাইরুজ আপুর মৃত্যু সিস্টেম্যাটিক কিলিং। প্রক্টর অফিসের টর্চার সেলেই তার মৃত্যুর বীজ রোপিত হয়েছে। অভিভাবক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া। সেখানে অভিযোগ দেওয়ার পরও বিচার না করে প্রশাসনই তাকে হত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য বিচার চাই।'

কথাগুলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম বাপ্পির। ফাইরুজ অবন্তিকার 'আত্মহত্যা'র ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম ফারাবি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ক্যাম্পাসে সচরাচর এমন ঘটনা ঘটে, যা আড়ালেই থেকে যায়। অবন্তিকা আপুর খুনিরা কোনোভাবেই পার পাবে না। এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখবো।'

তার মতো আরও অনেক শিক্ষার্থী এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ। গতরাত থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

ছবি: স্টার

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ক্যাম্পাসের শান্ত চত্বরে নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। কয়েকশত শিক্ষার্থীর মিছিল থেকে 'ফাইরুজ অবন্তিকা হত্যার বিচার কর', 'নিপীড়নকারী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে গ্রেপ্তার কর' ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। এসময় ক্যাম্পাসে পুলিশ অবস্থান নেয়।

পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান হক। 

ছবি: স্টার

তিনি বলেন, 'পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য বিচার নিশ্চিত করতে হবে, অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে, জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে, ভিকটিম ব্লেমিং বন্ধ ও ভিকটিমের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী সেলকে শক্তিশালী করতে হবে।'

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে তাকে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

 

Comments

The Daily Star  | English

A rush to heal exposed banking wounds

In October, a video on social media showed the manager of Social Islami Bank’s Agargaon branch breaking down in tears after enduring harsh verbal abuse from frustrated customers seeking to withdraw cash.

4h ago