জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু: সহপাঠী বহিষ্কার, সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। ক্যাম্পাসে তারা আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। ছবি: স্টার

কুমিল্লায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর 'আত্মহত্যা'র ঘটনায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের জেরে তার এক সহপাঠীকে বহিষ্কার এবং এক সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'উপাচার্যের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং এক সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।'

'ওই শিক্ষার্থী ও সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে', বলেন প্রক্টর।

এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। ক্যাম্পাসে তারা আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। 

বিক্ষোভরত কয়েকজন শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মারা যাওয়ার আগে ওই শিক্ষার্থী ফেসবুক পোস্টে তার এক সহপাঠী ও এক সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: স্টার

আমাদের কুমিল্লা সংবাদদাতা জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস পুকুরপাড় এলাকার বাড়ি থেকে ওই শিক্ষার্থীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

পরে স্বজনরা তাকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এরপর তার মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ঘটনাটি শুনেছি। হাসপাতালে আমার টিম রয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত জেনে আপনাদের জানাব।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

5h ago