জিম্মি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ওপর নজর রাখছে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ

ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্রের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এমভি আব্দুল্লাহর একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে সহায়তা করতে কাছাকাছি এলাকায় একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ও একটি দূরপাল্লার সামুদ্রিক টহল উড়োজাহাজ অবস্থান করছে।

ভারতের নৌবাহিনী আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। 

এতে বলা হয়, সশস্ত্র জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ কাছাকাছি এলাকায় উপস্থিত আছে।

গত মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে এমভি আব্দুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাহাজের ২৩ ক্রুদের জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। গতকাল বৃহস্পতিবার জাহাজটিকে সোমালিয়ার গারাকাদ বন্দর থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করা হয়।

ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, খবর পেয়ে গত মঙ্গলবারই নৌবাহিনী দূরপাল্লার মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্র্যাফ্ট এলআরএমপি পি-৮১ মোতায়েন করে।

'এয়ারক্র্যাফ্টটি জাহাজের ক্রুদের অবস্থা জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করে। তবে জাহাজ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি,' বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, 'পরে ভারতীয় নৌবাহিনী একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে। সেটি ওই অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তায় কাজ করছে। যুদ্ধজাহাজটি বৃহস্পতিবার জিম্মি জাহাজটিকে নজরদারি করতে শুরু করে।'

নৌবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, সশস্ত্র জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাণিজ্যিক জাহাজের ক্রুদের (বাংলাদেশি নাগরিক) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং জাহাজটি সোমালিয়ার জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এর কাছাকাছি অবস্থানেই ছিল।

পশ্চিম ভারত মহাসাগরে বেশ কিছু বাণিজ্য জাহাজের ওপর হামলার পর ভারতীয় নৌবাহিনী গত কয়েক সপ্তাহে ওই অঞ্চলে নজরদারি বাড়িয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে সোমালিয়ার পূর্ব উপকূলে ইরানি পতাকাবাহী মাছ ধরার জাহাজে জলদস্যুর আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয় ভারতীয় নৌবাহিনী। ওই জাহাজে ১১ ইরানি ও ৮ পাকিস্তানি নাগরিক ছিল বলে জানা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago