‘মুক্তিপণ না পেলে জাহাজের সব বন্দিকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি জলদস্যুদের’

জলদস্যুদের কবলে পড়া গোল্ডেন হক নামে পরিচিত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাহাজে উঠে সেখানে থাকা সবাইকে বন্দি করে একটি কেবিনে নিয়ে যাওয়ার সময় জলদস্যুরা মুক্তিপণ না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে জানিয়েছেন জাহাজের জেনারেল স্টুয়ার্ট মোহাম্মদ নূর উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস।

তিনি জানান, বন্দিদের দিকে বন্দুক তাক করে জলদস্যুরা বলেছে, 'মুক্তিপণ না দিলে একে একে সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলা হবে'।

জাহাজে বন্দিদের স্বজনদের সঙ্গে আজ বুধবার সকালে নগরীর বারিক বিল্ডিং এলাকায় অবস্থিত জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন জান্নাতুলও।

সেখানেই গণমাধ্যমকর্মীদের এই কথা জানান তিনি।

‘মুক্তিপণ না পেলে জাহাজের সব বন্দিকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি জলদস্যুদের’
এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের জেনারেল স্টুয়ার্ট মোহাম্মদ নূর উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে প্রথমে ফোন করে নূর উদ্দিন তার স্ত্রীকে জানান, তাদের জাহাজে জলদস্যুরা আক্রমণ করেছে। সেই সময় তিনি তার স্ত্রীকে দ্রুত সংবাদটি জাহাজ কর্তৃপক্ষের অফিসে জানাতে অনুরোধ করেন।

এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিনি ভিডিও কল করে নিজের আড়াই বছরের শিশুকে দেখতে চান। ওই সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে জানান জান্নাতুল।

'তিনি তখন কথা বলতে পারছিলেন না কান্নার জন্য। শুধু বলছিলেন, তারা অনেক বড় বিপদে পড়েছেন। আর দোয়া করতে বলেছিলেন। এটাই ছিল তার সঙ্গে আমার শেষ কথা', বলেন জান্নাতুল।

সর্বশেষ ৬টা ৫৯ মিনিটে স্বামীর কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভয়েস বার্তা পান জান্নাতুল।

ওই বার্তায় তার স্বামী জানান, তাদের মোবাইল ফোনগুলো জলদস্যুরা নিয়ে নিচ্ছে। দস্যুরা টাকা দাবি করে বলছে, জাহাজের মালিক যদি তাদের দাবি করা টাকা না দেয়, তাহলে সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলা হবে।

জান্নাতুল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে আবেদন জানান যে, অবরুদ্ধদের উদ্ধারে যাতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

11h ago