সিএএর আওতায় মুসলিমরা নয় কেন—যে ব্যাখ্যা দিলেন অমিত শাহ

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ভারতে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাস্তবায়ন ঘিরে যখন সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আজ প্রশ্ন করা হয় পার্সি ও খ্রিষ্টানদেরও সিএএর আওতায় আনা হলেও, মুসলিম নয় কেন?

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, 'মুসলিম অধ্যুষিত হওয়ার কারণে ওই এলাকা আজ ভারতের অংশ নয়। এটা তাদের জন্য দেওয়া হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, যারা অখণ্ড ভারতের অংশ ছিলেন এবং ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব।'

এ আইনের অধীনে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া অনিবন্ধিত অমুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, দেশভাগের সময় পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ ছিল হিন্দু। এখন তা ৩ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। কোথায় গেলেন তারা? এত মানুষ এখানে আসেনি। জোরপূর্বক ধর্মান্তর করা হয়েছিল, তাদের অপমান করা হয়েছিল, দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসাবে আচরণ করা হয়েছিল। তারা কোথায় যাবে? আমাদের পার্লামেন্ট ও রাজনৈতিক দলগুলোর কি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়? বাংলাদেশের কথা বলি। ১৯৫১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ২২ শতাংশ হিন্দু ছিল। ২০১১ সালে এটি ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। তারা কোথায় গেল?'

শিয়া, বেলুচ ও আহমদিয়া মুসলিমদের মতো নির্যাতিত সম্প্রদায় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বিশ্বজুড়ে এই জোটটি মুসলিম ব্লক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মুসলিমরাও এখানে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। সংবিধানে একটি বিধান আছে। তারা আবেদন করতে পারেন এবং ভারত সরকার জাতীয় সুরক্ষা এবং অন্যান্য বিষয়গুলি মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, সিএএ তিনটি দেশের নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের জন্য একটি 'বিশেষ আইন' যারা কোনো বৈধ নথি ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রম করেছে।

যাদের কাছে কোনো নথি নেই, তাদের কী হবে, জানতে চাওয়া হলে অমিত শাহ বলেন, 'যাদের নথি নেই, তাদের জন্য আমরা একটা সমাধান খুঁজে বের করব। কিন্তু আমার হিসাব অনুযায়ী, ৮৫ শতাংশের বেশি মানুষের কাছে নথি রয়েছে।'

তিনি বলেন, 'ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা আমাদের সার্বভৌম অধিকার। আমরা কখনই এর সাথে আপস করব না এবং সিএএ কখনই প্রত্যাহার করা হবে না।'

 

Comments

The Daily Star  | English

20 non-banks on BB red list

As of December last year, they disbursed Tk 25,808 crore in loans against collateral worth Tk 6,899 crore, according to the BB report

9h ago