‘বৈষম্যমূলক’ নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করল ভারত

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী সমাবেশ। রয়টার্স ফাইল ফটো

বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কার্যকর হওয়া এই আইন মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক বলে সমালোচনা রয়েছে।

এ আইনের অধীনে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া অনিবন্ধিত অমুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

ব্যাপক প্রতিবাদের মধ্যেই ২০১৯ সালে লোকসভায় আইনটি পাস হওয়ার ৪ বছর নরেন্দ্র মোদির সরকার আজ সিএএ বাস্তবায়নের আদেশ দিয়েছে।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে অনিবন্ধিত হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি ও জৈন সম্প্রদায়ের অভিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কিন্তু মুসলিমরা এর আওতায় পড়ছে না।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, নির্বাচনের আগে পুরো ভারতে সিএএ কার্যকর করা হবে। এই আইনের মাধ্যমে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না।

সিএএ আইন কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোদি সরকার বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু করবে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন 'নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০২৪ এর অধীনে যোগ্য অভিবাসীরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।'

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ আইনের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন।

তার মতে, এই আইন বৈষম্যপূর্ণ।

কলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'বৈষম্যপূর্ণ যে কোনো কিছুর বিরোধিতা করব। বিধি প্রকাশ হোক, আমরা সেগুলো পড়ব। পরে আমরা এগুলো নিয়ে কথা বলব।'

লোকসভায় এই বিল উত্থাপনের পর থেকেই ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত ছিল। যদিও সব সমালোচনা অগ্রাহ্য করেই লোকসভায় বিল পাস করেছে মোদি সরকার।

সমালোচকদের দাবি, এমন আইন প্রতিবেশী দেশগুলোর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভুল বার্তা দেবে।

কংগ্রেস বলেছে, কোনো নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বাইরের লোকদের নাগরিকত্ব দেওয়ার এমন আইন ভারতের সংবিধানের মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

 

Comments

The Daily Star  | English

BGMEA wants 3-month window from India to clear pending shipments

The association urges the interim government to send a letter to India seeking the opportunity

7h ago