একটা বছর খারাপ যেতেই পারে: শান্ত
তিন সংস্করণের মধ্যে ওয়ানডেকেই নিজেদের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা মনে করত বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের পর থেকে ৫০ ওভারের ক্রিকেটেই যে সবচেয়ে বেশি ভালো করতে দেখা গেছে তাদের। তবে এই ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০২৩ সালে। বিশ্বকাপ ব্যর্থতাসহ বছর জুড়েই বিবর্ণ পারফরম্যান্সে এলোমেলো অবস্থা ছিলো দলের। নতুন নিয়মিত নাজমুল হোসেন শান্ত মনে করেন, এই সংকট সাময়িক।
২০২৩ সালে ৩২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিততে পারে ১১ ম্যাচে, হার ১৮টিতেই। অথচ ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ১০৯ ম্যাচ খেলে ৬১টিতে জয়, আর ৪৫ ম্যাচে হারে বাংলাদেশ।
বিশেষ করে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে শান্তদের পারফরম্যান্স ছিল হতশ্রী। এই সময়ে খেলার বাইরের নানান ইস্যুতে হাওয়া অনেক গরম হয়েছে, বিতর্কের চাপ সইতে হয়েছে প্রবলভাবে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নতুন বছরে নতুন আরেকটি ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে শান্ত পুরো বিষয়টাকে বিশাল উদ্বেগের দৃষ্টিতে দেখতে চান না, 'সব সময় চ্যালেঞ্জ থাকবে। আন্তর্জাতিক যেকোনো দলের বিপক্ষে খেলার আগে চ্যালেঞ্জ থাক। যেটা বললেন ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। কাজেই একটা বছর খারাপ যেতেই পারে। কিন্তু দল হিসেবে ঘুরে দাঁড়িয়ে এই বছরটা ভালোভাবে ফেরাটা গুরুত্বপূর্ণ। এরজন্য ভালোভাবে প্রস্তুত।'
গত বছর যেখানে ৩২টি ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ, এবার খেলবে স্রেফ ৬টি। যার তিনটি হবে লঙ্কানদের বিপক্ষে। বাংলাদেশ তাও ৬টি খেলবে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারতের সামনে এই বছর কোন ওয়ানডে সিরিজই নেই।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কারণ প্রচুর পরিমাণ টেস্ট তো আছেই, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কারণে আছে কুড়ি ওভারের অনেক খেলা।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের কারণে গত বছর যেমন ছিলো ওয়ানডের বছর, এই বছর তেমনটি টি-টোয়েন্টির। জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ ঘিরেই চলবে আন্তর্জাতিক সূচির আবহ।
টি-টোয়েন্টির বছরে ওয়ানডের জন্য নিজেদের তাতিয়ে তোলার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা দেখছেন না শান্ত। তার মনে হচ্ছে এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই নিজেদের মানিয়ে চলছেন ক্রিকেটাররা, 'খুব একটা প্রভাব ফেলে না (নিজেদের চাঙ্গা করতে)। কারণ এই জিনিসটা আমরা সবাই মানিয়ে নিয়েছে। গত চার-পাঁচ বছর ক্রিকেট এভাবেই এগুচ্ছে।'
Comments