নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন: গণঅধিকার পরিষদ

শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের মিছিল। ছবি: সংগৃহীত

গ্যাস, বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার, সিন্ডিকেট ও বাজার কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসাসহ ৫ দফা দাবিতে গণসমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগর গণঅধিকার পরিষদ। 

আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি মোড়ে এ গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশ শেষে পুরানা পল্টন মোড়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট, প্রেসক্লাব হয়ে পুরানা পল্টন পর্যন্ত মিছিল করে গণঅধিকার পরিষদ।

সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, 'বাস থেকে সরকারি দলের নেতাকর্মী ও পুলিশ মিলে এক হাজার কোটি চাঁদা তোলে। যার ভাগ এমপি, মন্ত্রীসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থরা সবাই নেয়। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিরা মাদকের বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য দেয়। অথচ তারাই মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দেয়, সহযোগিতা করে। পুলিশ চাইলে ৭ দিনে মাদক বেচাকেনা বন্ধ হবে।'

তিনি বলেন, 'সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। কারণ সিন্ডিকেটের হোতারা সরকার চালায়। চিনি আমদানি করে দেশের ৫টি প্রতিষ্ঠান। তাদের ধরলে চিনির দাম বাড়বে না। কতিপয় দুর্বৃত্ত আমদানি-রপ্তানির নামে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে। দুদক তাদের কিছু করতে পারে না। সমন্বয়ের নামে জনগণের পকেট কাটতে সরকার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বাড়াচ্ছে।'

নুরুল হক নুর আরও বলেন, 'ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি সর্বত্র নিয়ন্ত্রণ করছে। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে হবে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের আন্দোলন দেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে।'

'আন্দোলনের কৌশলে হয়ত আমাদের ভুল হয়েছে। তবে ৯৫ শতাংশ জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারকে বলব, অনতিবিলম্বে নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার-গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন,' বলেন তিনি।

সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, 'নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়ে সরকার জনগণের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি শুরু করেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বলেছিল, ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে আর ঘরে ঘরে চাকরি দিবে। কিন্তু চালের কেজি ৬০-৭০ টাকা আর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতেও ব্যর্থ হয়েছে। এই ডামি সরকারের আমলে সাংবাদিক থেকে শুরু করে কোনো পেশার মানুষ ভালো নেই।'

তিনি বলেন, 'আমাদের কিছু ব্যর্থতা শিকার করে নেওয়া উচিত যে, আমরা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছি না। ঘর থেকে গ্রেপ্তার না হয়ে রাজপথে গ্রেপ্তার হওয়ার মানসিকতা অর্জন করতে হবে। ১৯৯০ এ ডাক্তার মিলন, নূর হোসেনরা রক্ত না দিলে এরশাদের পতন হতো না। সুতরাং যুব সমাজকে রক্ত ও জীবন দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে লড়াইয়ে নামতে হবে। তাহলেই গণতন্ত্র ফিরে আসবে এবং দেশের জনগণ মুক্তি পাবে।'

গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক করিম শাকিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, ফাতিমা তাসনিম, সহ-সভাপতি বিপ্লব কুমার পোদ্দার, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

Public admin reforms: Cluster system may be proposed for ministries

The Public Administration Reform Commission is likely to recommend reducing the number of ministries and divisions to 30 from 55 to improve coordination and slash the government’s operational cost.

7h ago