‘টাকা পাচার করতে কঙ্গো, সুদান, ঘানায় দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে’

গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানির প্রতিবাদে গণপদযাত্রা করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পদযাত্রা শেষ করে পথসভায় বক্তব্য দেন নুরুল হক নুর। ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানির প্রতিবাদে গণপদযাত্রা করেছে গণঅধিকার পরিষদ।

আজ বুধবার বিকেলে কালো ব্যাজ ধারণ করে পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা বিজয়নগর, নাইটিংগেল মোড়, ফকিরাপুল, পুরানা পল্টন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পদযাত্রা শেষ করে পথসভা করেন।

সেখানে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, 'ইউরোপ-আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার ভয়ে সরকার এখন দলীয় নেতা-কর্মীদের টাকা পাচারের জন্য কঙ্গো, সুদান, লাইবেরিয়া, ঘানা, ইরিত্রিয়া, বুরুন্ডি, রুয়ান্ডার মতো সংঘাতপূর্ণ ও দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশে দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ দিচ্ছে।'

গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি বলেন, 'দফায় দফায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাজারে অনেক ওষুধের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। শিশু খাদ্য আমদানিতে সংকট তৈরি হয়েছে।'

সংকটের এই পরিস্থিতিতে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের টাকা পাচারের জন্য দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ সম্প্রসারণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নুর বলেন, 'নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার বিরোধী মত দমনের মিশনে নেমেছে। বিএনপিসহ ৫৪টি দল রাজপথে সরকার ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য যুগপৎ আন্দোলনে ভয় পেয়ে দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে সরকার।

মিথ্যা মামলা দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমাদের দলের খুলনা ও বাগেরহাট জেলার সদস্য সচিবদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নুর আরও বলেন, 'বিডিআর বিদ্রোহের নামে পরিকল্পিতভাবে সেনা অফিসার হত্যার ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার না হওয়া প্রমাণ করে এ ঘটনায় সরকার জড়িত। সামনে বিরোধী দলকে ফাঁসাতে সরকার পুলিশকে নিয়েও নীলনকশা করছে। এ সরকারের হাতে এখন কেউ নিরাপদ নয়।'

Comments

The Daily Star  | English

Arrest warrant for Bera mayor: He was in plain sight for 33 months

Police did not arrest Pabna’s Bera municipality mayor SM Asif Shams for over two and a half years, even though he had an arrest warrant against him for his company’s failure to pay Tk 191.63 crore it owed the state.

14h ago