বেইলি রোডে আগুন: ভবনের মালিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

ঢাকার বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ভবনটির মালিক প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মামলায় ভবনটিতে থাকা ফাস্ট ফুড দোকান 'চুমুক'-এর মালিক আনোয়ারুল হক (২৯), 'কাচ্চি ভাই' রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজ (৩৪) এবং ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুলকে (৪০) আসামি করা হয়েছে।

হত্যাচেষ্ট ও অহবেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে গতরাতে রমনা থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলা করেন।

আসামিদের মধ্যে আনোয়ারুল ও হামিমুল গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ সালমান ফার্সি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আগুনে পুড়ে যাওয়া গ্রিন কোজি কটেজের মালিক আমিন মোহাম্মদ গ্রুপ। ভবনটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন মুন্সি হামিমুল আলম। নিয়ম ভঙ্গ করে ভবনটিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। আসামিরা অবৈধভাবে সেখানে রেস্টুরেন্ট খুলে ব্যবসা করছিলেন। রাজউকের দোকান পরিদর্শকদের 'ম্যানেজ' করে তারা এটা করেছিলেন।

আগুন লাগার কারণ হিসেবে এজাহারে বলা হয়, ভবনটির নিচ তলায় থাকা রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লেগে পরে তা পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন না করে গ্যাসের সিলিন্ডারগুলো সেখানে মজুদ করে রাখা হয়েছিল।

প্রাথমিকভাবে আরও জানা যায় যে, ভবনটি আবাসিক ভবন হিসেবে নির্মিত হলেও পরবর্তীতে উল্লেখিত আসামীসহ ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য বাণিজ্যিক সনদ সংগ্রহ করেন। রেস্টুরেন্টের মালিকরা রান্না করার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার বা চুলা ব্যবহারে ফায়ার সার্ভিস থেকে অনুমতি নেননি। রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নি নির্বাপণের জন্য পর্যাপ্ত ফায়ার এক্সটিংগুইশারসহ অন্যান্য ফায়ার ফাইটিং যন্ত্রপাতি ছিল না। এমনকি ভবনটিতে ফায়ার এক্সিট সিঁড়িও নেই।

Comments

The Daily Star  | English

An Eid evening at Pongu Hospital: overflowing emergency, lingering waits

NITOR is a 1,000-bed tertiary medical facility that receives referral patients from all over the country

16m ago