সবজিসহ পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৫১
সবজি ও অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের সময় ৫১ চাঁদাবাজকে আটক করেছে র্যাব।
আজ রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
র্যাব-৩ বাবুবাজার, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা মোড়, ইত্তেফাক মোড়, টিটি পাড়া ও কাজলা এলাকা থেকে ৩৯ চাঁদাবাজকে আটক করে এবং তাদের কাছ থেকে প্রায় এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, গাবতলী, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় র্যাব-২ এর অভিযানে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের সময় ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় প্রায় ১৯ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি রাজধানীসহ সারাদেশের খুচরা বাজারে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় জনমনে অসন্তোষ বাড়ছে। পাইকারি ও খুচরা দামের মধ্যে পার্থক্য দেখা গেছে, উৎপাদনের স্থান থেকে পাইকারি বাজারে পরিবহনের উপর চাঁদার কারণে সবজির দাম বেড়েছে।
র্যাব জানায়, সড়ক-মহাসড়কে এসব বাড়তি খরচের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির ঘটনা মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়ায় এই সমস্যা সমাধানে চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারে নজরদারি বাড়ায় র্যাব।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করে। তথাকথিত ইজারাদারদের নির্দেশে কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতি রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর অবস্থান নেয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যবাহী যানবাহন রাজধানীতে প্রবেশের সময় তারা লেজার লাইট, লাঠি ও বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভারদের কাছে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও দেয়। ড্রাইভাররা তাদের চাঁদা দিতে না চাইলে তাদের গাড়ি ভাঙচুর, ড্রাইভার-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
র্যাব জানায়, এইসব চাঁদাবাজরা প্রতিটি ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন থেকে ২০০-৩০০ টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। পণ্যবাহী কোনো গাড়ি দেখলেই তারা লেজার লাইটের আলো ফেলে তা থামিয়ে কৌশলে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা আদায় করে থাকে। বিশেষ করে মধ্য রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যখন পণ্যবাহী ট্রাক ঢাকা প্রবেশ করে তখন সড়কে এমন দৃশ্য দেখা যায়। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রতি রাতে চাঁদা আদায় করে ইজারাদারদের কাছে দেয়। চাঁদা আদায়ের জন্য ইজারাদাররা প্রত্যেককে প্রতি রাতে ৬০০-৭০০ টাকা মজুরি দেয়। এই চক্র রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতি রাতে পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে বলে জানা গেছে।
Comments