যা ঘটেছে তা হজম করতে সময় লাগবে হার্টলির

ছবি: এএফপি

অভিষেক টেস্টে দারুণ বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের জয়ে রাখলেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। স্পিন সহায়ক উইকেটকে কাজে লাগিয়ে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে শিকার করলেন ভারতের ৭ উইকেট। এতে বেশ কিছু অর্জনেও যুক্ত হলো ২৪ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনারের নাম। ম্যাচের পর তিনি জানালেন বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ারে ভাসতে থাকার কথা।

হায়দরাবাদ টেস্টের চতুর্থ দিনে রোববার ২৮ রানের দারুণ জয় পেয়েছে ইংলিশরা। অলি পোপের অনবদ্য ১৯৬ রানে চড়ে চা বিরতির আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২০ রানে থামে সফরকারীরা। এতে ভারতের সামনে দাঁড়ায় ২৩১ রানের লক্ষ্য। রান তাড়ায় নেমে হার্টলির ঘূর্ণি বোলিংয়ের প্রত্যুত্তর না পেয়ে ২০২ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক দল।

কী ঘটেছে তা বুঝে উঠতে পারছেন না, জয় নিশ্চিতের পর হার্টলির মন্তব্যে পাওয়া যায় এমন বার্তা, 'এটা অবিশ্বাস্য ছিল। হজম করতে আমার কিছুদিন সময় লাগবে। সত্যি বলতে, আমি ভীষণ আনন্দ বোধ করছি।'

ম্যাচে হার্টলির শিকার ১৯৩ রানে ৯ উইকেট। প্রথম ইনিংসে খরুচে বোলিংয়ে ১৩১ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। সেই ধাক্কা সামলে পরেরবার নিজেকে মেলে ধরেন। ৭ উইকেট পেতে তিনি দেন ৬২ রান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টেস্ট অভিষেকে ইংল্যান্ডের কোনো স্পিনারের সেরা বোলিং এটি, সব মিলিয়ে ইতিহাসের দ্বিতীয়। ১৯৩৩ সালে জেমস ল্যাংগ্রিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যানচেস্টারে ৭ উইকেট পেয়েছিলেন ৫৬ রানে।

অভিষেক টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৭ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া মাত্র সপ্তম বোলার হার্টলি। তার আগে এই তালিকায় সবশেষ ক্রিকেটার ছিলেন ল্যান্স ক্লুজনার। দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ১৯৯৬ সালে ৬৪ রান খরচায় ধরেছিলেন ৮ শিকার। সেবারও ইডেন গার্ডেন্সে হারের তেতো স্বাদ জুটেছিল ভারতের।

প্রথম ইনিংসের বাজে অভিজ্ঞতার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতকে ধরাশায়ী করেন হার্টলি। দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকসকে কৃতিত্ব দেন তিনি, 'তারা আমার পাশে ছিল এবং সত্যিই আমি একটুও আত্মবিশ্বাস হারাইনি। আমি ভালোমতো মাঠে আসতে এবং নিজের সেরাটা দিতে সক্ষম হয়েছি।'

Comments