চুয়াডাঙ্গা

ক্লিনিকে ঢুকে নার্সকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, আটকের পর কারাগারে স্বামী

নার্সকে হত্যা
নার্সকে হত্যার ঘটনায় শনিবার রাতেই স্বামী কবিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় একটি ক্লিনিকে ঢুকে এক নার্সকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

আজ রোববার বিকেলে ওই নার্সের স্বামী কবির হোসেনকে জীবননগর আমলী আদালতে পাঠানো হলে, আদালত তাকে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আল আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জীবননগর পৌর এলাকার মা নার্সিং হোম অ্যান্ড ক্লিনিকে হত্যার ঘটনা ঘটে। 

নিহত নার্স হাফিজা খাতুন (৩৮) ওই উপজেলার বালিহুদা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি ক্লিনিকটিতে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী কবির হোসেনকে গতরাতেই আটক করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত কিছুদিন ধরে পারিবারিক বিষয় নিয়ে হাফিজা ও কবিরের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। শনিবার সকালে ক্লিনিকের ছাদে একই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।

পরে রাতে ক্লিনিকে ঢুকে হাফিজাকে ছুরিকাঘাত করেন কবির। তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আল আজাদ বলেন, 'হত্যাকাণ্ডের আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই জীবননগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত স্বামী কবির হোসেনকে আটক করা হয়েছে।'

নিহত হাফিজার বাবা শমসের হোসেন আজ দুপুরে বাদী হয়ে জীবননগর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, 'বিকেলে আসামি কবির হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। পরে তাকে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।'

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

6h ago