আইওয়া ককাসে ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে ট্রাম্পের জয়
দ্বিতীয়বারের মতো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে প্রথম 'বাধা' পেরোতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ে আইওয়া অঙ্গরাজ্যের দলীয় ককাসে বড় জয় পেয়েছেন ট্রাম্প।
সোমবার মধ্য-পশ্চিম আমেরিকার আইওয়া অঙ্গরাজ্যের 'রিপাবলিকান ককাস' এ প্রাথমিক (প্রাইমারি) নির্বাচনে তিন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মধ্যে এই ভোট হয়। এতে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি (৫১) ও ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিসকে (৪৫) বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (৭৭)।
এডিসন রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ৯৫ শতাংশ ভোটের মধ্যে ট্রাম্প ৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। রন ডিস্যান্টিস পেয়েছেন ২১ শতাংশ ও নিকি হ্যালি পেয়েছেন ১৯ শতাংশ।
এদিকে, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামস্বামীর নাম সামনে আসলেও আইওয়া ককাসে ট্রাম্পের এগিয়ে থাকার ইঙ্গিত মিলতেই এ লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। ট্রাম্পকে সুবিধা করে দিতেই রামস্বামীর এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
রয়টার্স জানায়, আইওয়া ককাসের ফলাফল প্রমাণ করছে যে ক্রমবর্ধমান আইনি ঝামেলা, এমনকি দু'বার অভিশংসনের পরেও রিপাবলিকানদের মধ্যে আধিপত্য ধরে রেখেছেন ট্রাম্প।
তার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে হামলা, ২০২০ সালের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা, হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার পরেও গোপন নথি নিজের কাছে রেখে দেওয়া এবং পর্ন তারকার মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ প্রদানসহ ৯১টি ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে।
তবে রিপাবলিকানদের অনেকেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলাগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে দেখছেন।
রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হয়ে ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন ট্রাম্প। ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও তিনি রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির জো বাইডেনের কাছে হেরে যান ট্রাম্প।
নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছিলেন ট্রাম্প। এখন তিনি ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার জন্য লড়ছেন।
আইওয়া ককাসে বিজয়ের পর ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, 'ধন্যবাদ আইওয়া, আমি আপনাদের সবাইকে ভালবাসি!!!'
Comments