ট্রাম্পের নতুন চিফ অব স্টাফ, কে এই সুজি ওয়াইল্‌স

ট্রাম্পের নতুন চিফ অব স্টাফ সুসি ওয়াইলস। ছবি: রয়টার্স
ট্রাম্পের নতুন চিফ অব স্টাফ সুসি ওয়াইলস। ছবি: রয়টার্স

এবারের মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারণায় অনেক বড় বড় মানুষের নাম উচ্চারিত হয়েছে। বুধবার তিনি যখন আবারও ইতিহাস গড়ে দ্বিতীয় বারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হলেন, তখন তার পাশে পরিবারের সদস্য, ধনকুবের ইলন মাস্ক, রাজনৈতিক মিত্র, ইউএফসির প্রেসিডেন্ট ডানা হোয়াইট সহ অনেকে থাকলেও একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে সেই পাদপ্রদীপের আলোতে দেখা যায়নি বললেই চলে।

সেই মানুষটিই সুজি ওয়াইল্‌স—হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ।

ট্রাম্প জয়ী হওয়ার দুইদিনের মাথায় বিশ্বের অনেকেই প্রথমবারের মতো 'ট্রাম্পের জয়ের কারিগর' সুজি ওয়াইল্‌সের নাম শুনলেন। ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের প্রথম কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেলেন সুসি।

'বরফ মানবী' সুসি

ট্রাম্পের নতুন চিফ অব স্টাফ সুসি ওয়াইলস। ছবি: রয়টার্স
ট্রাম্পের নতুন চিফ অব স্টাফ সুসি ওয়াইলস। ছবি: রয়টার্স

সুসি উইলস একজন 'কাজের মানুষ'। তিনি সবার নজরে থাকার চেয়ে নেপথ্যে বসে কাজ করতেই বেশি আগ্রহী।

নির্বাচনে জয়লাভের পর দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প সুসিকে 'বরফ মানবী' হিসেবে অভিহিত করেন। এ সময় মঞ্চে তার পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সুসি।

প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ট্রাম্প বলেন, 'সুসি নেপথ্যে থাকতেই পছন্দ করেন', কিন্তু একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সমীহ জাগানিয়া রাজনৈতিক কর্মী হিসেবেও পরিচিত।

'আবারও আমেরিকাকে মহান রাষ্ট্রের রুপান্তরিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাবেন সুসি', বলেন ট্রাম্প।

এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি  সুসিকে তার 'মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন' মন্ত্রের সঙ্গে একাত্ম করেন।

ট্রাম্পের তৃতীয় নির্বাচনী প্রচারণার নেপথ্যের কারিগর সুসি মানুষের নজর এড়িয়ে ও গোপনীয়তা বজায় রেখে কাজ করেন। অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় জটিল সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই মূলত তার এই 'বরফ মানবী' উপাধি। তিনিই সম্ভবত মার্কিন রাজনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ, যাকে কয়েকদিন আগেও তেমন কেউই চিনতো না।

ট্রাম্প-সুসি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ

নির্বাচন জয়ের পর ট্রাম্পের সঙ্গে স্ত্রী মেলানিয়া ও সুসি ওয়াইলস। ছবি: রয়টার্স
নির্বাচন জয়ের পর ট্রাম্পের সঙ্গে স্ত্রী মেলানিয়া ও সুসি ওয়াইলস। ছবি: রয়টার্স

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের মতো মাথা গরম ও খ্যাপাটে নেতার নির্বাচনী প্রচারণার সাফল্যের পেছনে সুজি ওয়াইল্‌সের চরিত্রের এই দিকগুলো বড় ভূমিকা রেখেছে। তার বিশ্বস্ততা ও কার্যকারিতার প্রতিদান হিসেবেই ট্রাম্প তাকে তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত উপদেষ্টার পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

ট্রাম্প তার বিবৃতিতে আরও বলেন, 'সুসি কাউকে ছেড়ে কথা বলেন না। তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমতী, তার কাজে সব সময় নতুনত্বের ছোঁয়া থাকে এবং তিনি সার্বজনীন সুনাম ও সম্মানের অধিকারী।'

ট্রাম্পের সারাক্ষণ সবার নজরে থাকার আর পত্রিকার শিরোনাম হওয়ার প্রবণতার সঙ্গে তুলনায় সুসির ব্যক্তিত্ব ও কার্যধারা একেবারেই বিপরীতধর্মী। ট্রাম্পকে সর্বক্ষণ ঘিরে রাখে তার আলোকে আলোকিত হতে চাওয়া মানুষ, তারকা, উঠতি ধনী ও অন্যান্য রথী-মহারথীরা। অপরদিকে, সুসি নিজেকে 'দাদী' হিসেবে পরিচয় দেন এবং জানান, তিনি পোষা কুকুর ভালোবাসেন। বেকিং ও পাখি দেখা তার নেশা।

জনসম্মুখে এভিয়েটর সানগ্লাসে ঢাকা থাকে তার চোখ। তার সঙ্গে কথা বলতে যেয়ে বেশিরভাগ মানুষ সানগ্লাসে নিজের প্রতিফলন দেখেন।

বাইডেনের জয়ে ২০২০ সালে অনিচ্ছাসত্ত্বেও হোয়াইট হাউস ছাড়তে বাধ্য হন ট্রাম্প। সে সময় থেকে সুসি অনেকাংশেই ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বড় প্রভাব রেখেছেন। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্যক্রমে শৃঙ্খলা, নিয়ম ও সার্বিকভাবে, নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসেন, যা ট্রাম্পের ক্ষেত্রে খুবই বিরল।

যারা সুসিকে ভালো করে চেনেন, তারা বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখেন তিনি। কখনোই ট্রাম্পকে কোনো বিধিনিষেধের মধ্যে নেওয়ার চেষ্টা করেন না। আবার তাকে একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরেও যেতে দেন না।

যার ফলে, বিশ্লেষকরা বলছেন, অনেক সময়ই মাথা গরম করে ফেলা, ক্ষ্যাপাটে স্বভাবের ট্রাম্প জেনেবুঝেই নিজের প্রশাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদের অন্যতম, চিফ অব স্টাফ হিসেবে এই 'বরফ মানবীকে' বেছে নিয়েছেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল কাপুতো সুসি ও ট্রাম্প, উভয়ের সঙ্গেই কাজ করেছেন। ২০২২ সালে সিএনএনকে তিনি বলেন, 'যারা তার আশেপাশে থাকে, তারা সুসিকে পছন্দ করুক বা না করুক। একটি বিষয়ে তারা একমত। অকারণে ঝামেলা পাকানো তার স্বভাবে নেই।'

সুজির রাজনৈতিক ক্যারিয়ার

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের সঙ্গে সুসি ও তার দুই মেয়ে। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের সঙ্গে সুসি ও তার দুই মেয়ে। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

১৯৮০ সালে রোনাল্ড রিগানের নির্বাচনী প্রচারণায় যোগ দেন ওয়াইলস। তার রাজনীতির ক্যারিয়ারের এক বছরও পূরণ হয়নি তখনো।

ফ্লোরিডার রাজনীতিতে রূপান্তর আনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সুসি।

২০১০ সালে রিপাবলিকান নেতা রিক স্কটের প্রচারণা দলে যোগ দেন তিনি। রিক ছিলেন একজন আনকোরা রাজনীতিবিদ। মূলত ব্যবসায়ী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। মাত্র সাত মাসের মাথায় তার ফ্লোরিডার গভর্নর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সুসি। রিক বর্তমানে মার্কিন সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সুসির সঙ্গে প্রথমবার ট্রাম্পের দেখা হয় ২০১৫ সালে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারিতে। সে সময় তিনি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের প্রচারণা দলের সহ-সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফ্লোরিডায় হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেন ট্রাম্প।

ফ্লোরিডার গভর্নর ও রিপাবলিকান পার্টির জনপ্রিয় নেতা রন ডিস্যান্টিস সুসিকে তার প্রচারণা দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। গভর্নর হিসেবে জয়ী হয়ে দুই বছর পরে সুসির বিষয়ে তিনি বলেন, '(প্রচার-প্রচারণায়) মার্কিন রাজনীতিতে তার জুড়ি মেলা ভার।'

ট্রাম্পের প্রচারণা দলে সুসির পাশাপাশি ক্রিস লাসিভিটাও জড়িত ছিলেন। দুইজন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। তিনিও রিপাবলিকান রাজনীতির এক অভিজ্ঞ যোদ্ধা।

সুসি ও ক্রিস একাত্ম হয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাইমারি জেতার কৌশল তৈরি করেছিলেন।

তার পলিটিকো প্রোফাইলে সুসি নিজেকে একজন ৬৭ বছর বয়সী দাদী হিসেবে অভিহিত করেন। তার বাবা প্রয়াত আমেরিকান ফুটবল খেলোয়াড় প্যাট সামারঅল। সুসি দাবি করেন, তিনি 'প্রথাগত' রাজনৈতিক পটভূমি থেকে উঠে এসেছেন।

বাবার সঙ্গে সুসি। ছবি: সংগৃহীত
বাবার সঙ্গে সুসি। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, 'আমার ক্যারিয়ারের শুরুতে রাজনীতিতে ভদ্র ব্যবহার জানা ও চর্চা করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যুনতম শিষ্টাচার প্রত্যাশিত ছিল।'

তিনি ব্যাখ্যা করেন, কয়েক দশক আগে রিপাবলিকান পার্টির রাজনীতির সঙ্গে এখনকার রাজনীতির আকাশ পাতাল তফাত।

'তবে আমি এটুকু বুঝতে পেরেছি, এখনকার জিওপি অনেকটাই ভিন্ন', যোগ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, রিপাবলিকান পার্টিকে অনেক সময় সংক্ষেপে জিওপি বলা হয়, যার পূর্ণ অর্থ গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি (পুরনো ও মহান দল)।

সুসি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য এসব পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে।'

'অসাধারণ, দৃঢ়চেতা ও কৌশলী' সুসি

ট্রাম্পের প্রচারণা দলের সঙ্গে সুসি। ছবি: রয়টার্স
ট্রাম্পের প্রচারণা দলের সঙ্গে সুসি। ছবি: রয়টার্স

বিশ্লেষকদের মতে, সুসিকে নিয়োগ দেওয়ায় ট্রাম্পের বিচক্ষণতা প্রকাশ পেয়েছে

এবারের প্রচারণায় ট্রাম্প বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক বিষয় নিয়ে বলেছেন। তাকে ভোট না দিলে 'রক্তের বন্যা বয়ে যাবে', 'ইসরায়েল ধ্বংস হবে', 'অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্র দখল করে নেবে'—এ ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শনে তিনি অনেক সময় দিয়েছেন। পাশাপাশি, 'প্রতিশোধ নেবেন', উগ্র বামপন্থীদের দমনে সেনাবাহিনী ব্যবহার করবেন, মুসলিম ও ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরত পাঠাবেন; এরকম অনেক হুমকিও দেন তিনি। 

এ রকম পরিস্থিতিতে, সবার আগে এমন একজনকে তিনি নিয়োগ দিলেন, যার সঙ্গে বস্তুত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অনেক সদস্যের বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

ট্রাম্পের 'সাংবাদিক গুলি খেয়ে মরলে আমার কিছু আসে যায় না' ভাবমূর্তির বিপরীতে সুসি সব সময় গণমাধ্যমের প্রতি সহযোগিতামূলক মনোভাব দেখিয়েছেন। সুসির নির্বাচনে বামপন্থীদের উদ্বেগ কমেছে। তার বলছেন, বিচক্ষণতা ও পরিপক্বতার নিদর্শন রেখেছেন ট্রাম্প।

ফ্লোরিডায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতিনিধি জ্যারেড মস্কোউইজ বলেন, 'তিনি (সুসি) অসামান্য, দৃঢ়চেতা ও কৌশলী। তিনি দেশের সেবা করার জন্য উপযুক্ত চিফ অব স্টাফ।'

ওয়াশিংটন ডিসিতে লবিইস্ট হিসেবে দীর্ঘদিন কাজের অভিজ্ঞতা আছে সুসির। এই অভিজ্ঞতা তার নতুন ভূমিকায় খুবই কাজে আসবে। এখনো ওয়াশিংটন ও ফ্লোরিডাভিত্তিক লবিইস্ট মার্কারির কর্মীর তালিকায় তার নাম রয়েছে।

এর আগে ট্রাম্পের তহবিল গঠনে নিযুক্ত লবিইস্ট প্রতিষ্ঠান ব্যালার্ড পার্টনার্সে কাজ করেছেন তিনি। সে সময় এই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের মধ্যে ছিল জেনারেল মোটর্স ও টোটাল মিলিটারি ম্যানেজমেন্ট।

দ্বাররক্ষক সুসি

ট্রাম্পের সবচেয়ে সুশৃঙ্খল ও কৌশলগত দিক দিয়ে সেরা প্রচারণার সঙ্গে সুসির নাম জড়িয়ে রয়েছে।

পুরো প্রচারণার সময়টিতে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের ফ্লাইট শিডিউলের দায়িত্বে ছিলেন সুসি।

এই দায়িত্বের অংশ হিসেবে দ্বাররক্ষকের ভূমিকাও পালন করতে হয় তাকে। অনেক সময় ট্রাম্প অনেকের সঙ্গে দেখা করতে চাননি, কিন্তু নিজে সরাসরি মানা না করে সুসিকে দিয়ে বলিয়েছেন। এ বিষয়টিতে সুসি বেশ পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন।

প্রচারণার সময় ট্রাম্পের দ্বাররক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন সুসি। ছবি: রয়টার্স
প্রচারণার সময় ট্রাম্পের দ্বাররক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন সুসি। ছবি: রয়টার্স

সুসির উদ্যোগে রিপাবলিকান শিবিরের সব মহল থেকেই নিরঙ্কুশ সমর্থন আদায় করে নিতে পারেন ট্রাম্প, যা তার প্রচারণার শুরুর দিকে অকল্পনীয় ছিল। ট্রাম্পবিরোধী হিসেবে পরিচিত সাবেক হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ও তরুণ ডানপন্থী ভোটার গ্রুপের নেতা চার্লি ক্লার্কও সুসির প্রশংসা করেন।

ট্রাম্পের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার আগে সুসি কথা আদায় করে নেন যে তিনি অন্য যেকোনো চিফ অব স্টাফের চেয়ে বেশি কর্তৃত্ব উপভোগ করবেন। উভয়কে চেনেন এমন এক সূত্র এ বিষয়টি জানিয়েছেন।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চিফ অব স্টাফ বেশ ঝামেলায় পড়েছিলেন, কারণ অনানুষ্ঠানিক উপদেষ্টা, পরিবারের সদস্য ও অন্যান্য বহিরাগতরা প্রেসিডেন্টের ওপর বেশ প্রভাব বিস্তার করতেন।

সূত্র জানান, এবার সেরকম পরিস্থিতি যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছেন সুজি ওয়াইল্‌স। 

প্রথম মেয়াদে চারজন চিফ অব স্টাফ নিয়োগ দিয়েছিলেন 'অস্থির ট্রাম্প'। জন কেলি সর্বোচ্চ ১৭ মাস এ পদে ছিলেন।

সম্প্রতি জন ট্রাম্পকে একজন 'ফ্যাসিবাদি' বলেও অভিহিত করেন। অপর এক চিফ অব স্টাফ তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সব মিলিয়ে, চার চিফ অব স্টাফের কারো সঙ্গেই ট্রাম্পের খুব বেশিদিন সুসম্পর্ক থাকেনি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার বিষয়টি ভিন্ন দিকে আগাবে। 

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago