ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজার কেন্দ্রে শুহাদা আল আকসা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত রোগীরা। ফাইল ছবি: রয়টার্স
গাজার কেন্দ্রে শুহাদা আল আকসা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত রোগীরা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৯৯ জন আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।

গাজার কেন্দ্রে দেইর এল-বালাহর কাছাকাছি জায়গায় ইসরায়েলি বিমানহামলায় আট জন নিহত হন।

গাজার বাসিন্দা নাবিল ফাতি (৫১) বলেন, 'আমি জেগে উঠে ভাবলাম দুঃস্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু এটাই বাস্তবতা'।

'আমার আর আমার ছেলে বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। আমাদের পরিবারের ২০ সদস্য শহীদ হয়েছেন। যদিও বেঁচেও যাই, তাও বলতে পারছি না আমরা (এরপর) কোথায় যাব', যোগ করেন তিনি। 

উত্তর গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা রাফাহ'র এই বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেও ইসরায়েলি বিমানহামলা থামেনি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
উত্তর গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা রাফাহ'র এই বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেও ইসরায়েলি বিমানহামলা থামেনি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নজিরবিহীন ও অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এই হামলায় এক হাজার ১৪০ জন নিহত হন। হামাসের হাতে জিম্মি হন ২৫০ জন। ইসরায়েলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হামাসের হাতে এখনো ১৩২ জন আটক আছেন। জিম্মি অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ জন। বাকিরা এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তি পান।

হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল টানা তিন মাস ধরে গাজায় নিরবচ্ছিন্নভাবে স্থল ও বিমানহামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২২ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ৫৮ হাজার। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন আরও অনেকেই।

যুদ্ধের ফাঁকে গিটার বাজিয়ে অবসর কাটাচ্ছেন ইসরায়েলি সেনারা। ছবি: রয়টার্স
যুদ্ধের ফাঁকে গিটার বাজিয়ে অবসর কাটাচ্ছেন ইসরায়েলি সেনারা। ছবি: রয়টার্স

এই সংঘাত শুরুর পর অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা। ৭ অক্টোবরের পর সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৩২৭ ফিলিস্তিনি। আল জাজিরা জানিয়েছে, এই সময়ের মাঝে পশ্চিম তীরে গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৫ হাজার ৬০০ ও আহত হয়েছেন তিন হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

2h ago