ডিপ ফ্রিজে মাছ-মাংস কতদিন রাখা যাবে

ডিপ ফ্রিজে মাছ-মাংস কতদিন রাখা যাবে
ডিপ ফ্রিজে মাছ-মাংস কতদিন রাখা যাবে

কর্মব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন বাজারে গিয়ে শাকসবজি, মাছ, মাংস কেনার সময় পাওয়া যায় না। প্রতিদিন বাজার করার ঝামেলা এড়াতে প্রযুক্তি আমাদের দিয়েছে রেফ্রিজেরেটর বা ফ্রিজ।

শহরের পাশাপাশি গ্রামেও এখন সবার বাড়িতেই ফ্রিজ আছে। ফ্রিজে মাছ-মাংস দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখা হয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না, মাছ-মাংস ফ্রিজে কতদিন সংরক্ষণ করা উচিত।

ডিপ ফ্রিজে মাছ-মাংস কতদিন সংরক্ষণ করা যাবে এবং দীর্ঘদিন সংরক্ষণে কী ক্ষতি হতে পারে এ বিষয়ে জানিয়েছেন মিরপুর জেনারেল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পুষ্টিবিদ তারানা জান্নাত মুমু।

তারানা জান্নাত মুমু বলেন, যেকোনো খাবারই সতেজ খাওয়া ভালো। সংরক্ষণ করে রাখলেও  দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা খাবার খাওয়া একদম উচিত নয়। ডিপ ফ্রিজে মাছ এবং মাংস অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকলেও সময়ের সঙ্গে এগুলোর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘদিন পর রান্না করলে স্বাদেরও তারতম্য হয়।

মাছ-মাংস কাঁচা অথবা রান্না অবস্থায় ফ্রিজে  সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। রান্না করা মাছ মাংস বাতাস ঢুকতে পারে না এমন বক্সে করে ফ্রিজে রেখে সর্বোচ্চ ২-৩ দিনের মধ্যে খাওয়া ভালো।

কাঁচা মাছ-মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে এগুলোর পুষ্টিগুণ কম নষ্ট হবে। মাছ- মাংস কখনোই ফ্রিজে  একসঙ্গে সংরক্ষণ করা যাবে না। মাছ-মাংস কিনে এনে ভালো করে ধুয়ে, কেটে অথবা আস্ত অবস্থায় পলিথিন দিয়ে এমনভাবে বেঁধে রাখতে হবে যাতে বাতাস ঢুকতে না পারে।

মাংস বড় টুকরা করে রাখতে হবে। মাছ ভালো করে ধোয়া না হলে মাছের ফুলকা বা কানকোতে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। এগুলো ঠান্ডা তাপমাত্রায় বংশবিস্তার করে মাছ নষ্ট করে দেয়। অনেক সময় দেখে বোঝা যায় না মাছ নষ্ট হয়েছে। তবে খাওয়ার পর শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় বায়ুরোধী বক্সে মাছ মাংস ফ্রিজে রাখলে। এভাবে সংরক্ষণ করে মাছ সর্বোচ্চ ১৫ দিন এবং মাংস সর্বোচ্চ ২-৩ মাস রেখে খাওয়া ভালো।

মাছ বা মাংস একসঙ্গে অনেক পরিমাণ রাখা যাবে না। অল্প অল্প করে ভাগ করে রাখতে হবে এবং ফ্রিজ থেকে মাছ-মাংস বের করে বরফ গলানোর পর আবার ফ্রিজে উঠানো একদমই উচিত নয়। এক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে।

অনেকেই কোরবানির গরু-খাসির মাংস এক বছর পর্যন্ত ডিপ ফ্রিজে রেখে খান, যা একদমই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কারণ ফ্রিজে প্রোটিনজাতীয় খাবারে সবচেয়ে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক সংক্রমিত হয় এবং পুষ্টিগুণও পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়।

দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখা মাছ-মাংস খাওয়া হলে ফুড পয়জনিং ও ফুড ইনফেকশন হতে পারে। বমি, ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং নিয়মিত ফ্রিজের খাবার খেতে থাকলে শরীরে বিভিন্ন জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

2h ago