থাই সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১৫ সন্দেহভাজন মাদক চোরাকারবারি নিহত

আটক করা ১৭ ব্যাগ মাদকসহ থাই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। ছবি: এএফপি
আটক করা ১৭ ব্যাগ মাদকসহ থাই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। ছবি: এএফপি

থাই সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১৫ সন্দেহভাজন মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছেন। থাইল্যান্ডের উত্তরের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই পক্ষের গুলি বিনিময়ের সময় এই ঘটনা ঘটে।

আজ সোমবার এক থাই সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

শনিবার সন্ধ্যায় চিয়াং রাই প্রদেশের মে ফাহ লুয়াং জেলায় এই গুলি বিনিময়ের ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনাস্থলের কাছেই অবস্থিত থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও লাওসের সংযোগস্থল, যা 'সোনালি ত্রিভুজ' নামে পরিচিত। এখান থেকে দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাকারবারের অভিযোগ রয়েছে।

সংঘাত শেষে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ১৭টি ব্যাগে ২০ লাখেরও বেশি অ্যামফেটামিন ট্যাবলেট চিহ্নিত করেন।

নাম না প্রকাশের শর্তে সেনা কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, 'আমরা এখনো জানতে পারিনি নিহত ১৫ জনের সবাই থাই নাগরিক কী না'।

মিয়ানমার অ্যামফেটামিন মাদকের অন্যতম প্রধান উৎপাদক। উৎপাদিত মাদকের একটি বড় অংশ সেখান থেকে থাইল্যান্ড ও লাওসের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশে পাঠানো হয়।

২০২১ এর ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই নানা গোলযোগ ও অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার। তবে এই অভ্যুত্থানের আগে থেকেই দেশটিতে অবৈধ মাদকের উৎপাদন ও চোরাকারবার বাড়ছে।

আটক করা ১৭ ব্যাগ মাদক। ছবি: এএফপি
আটক করা ১৭ ব্যাগ মাদক। ছবি: এএফপি

সম্প্রতি আফগানিস্তানকে হটিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশের তকমা পেয়েছে মিয়ানমার।

থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের পার্বত্য এলাকাগুলোতে মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গে টহল সেনাদের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা প্রায়ই ঘটে।

সেপ্টেম্বরে এক সংঘাতে এক চোরাকারবারি ও এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। এক বছর আগে চিয়াং রাইতে সেনাবাহিনী ১৫ সন্দেহভাজন চোরাকারবারিকে হত্যা করে। তারা পায়ে হেঁটে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Admin officers protest plan for more non-admin deputy secretaries

Non-admin officers announce strike tomorrow, demanding exam-based promotions

1h ago