চাকরিচ্যুতির ৫ দিন পর ওপেনএআইয়ে ফিরলেন স্যাম অল্টম্যান

গত শুক্রবার অল্টম্যানকে সরিয়ে দেওয়ার পর তাকে তার পদে ফিরিয়ে আনার জন্য মাইক্রোসফটসহ ওপেনএআইর সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারীরা সুপারিশ করে।
চ্যাটজিপিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান। ফাইল ছবি: এএফপি
চ্যাটজিপিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান। ফাইল ছবি: এএফপি

এআই ভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক ওপেনএআইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় তাকে আবারও পুনর্বহালের ঘোষণা এসেছে। 

আজ বুধবার ওপেনএআইর বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, স্যাম অল্টম্যানকে তার পদে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

গত শুক্রবার অল্টম্যানকে সরিয়ে দেওয়ার পর তাকে তার পদে ফিরিয়ে আনার জন্য মাইক্রোসফটসহ ওপেনএআইর সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারীরা সুপারিশ করে।

সোমবার প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা আলটিমেটাম দেয়, বোর্ডের সবাই পদত্যাগ না করলে তারা চাকরি ছেড়ে দেবেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক ওপেনএআইয়ের বর্তমান বোর্ডের সবাই পদত্যাগ না করলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা মাইক্রোসফটে স্যাম অল্টম্যানের সদ্য প্রতিষ্ঠিত বিভাগে চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।

ওপেনএআই কর্মীদের দেওয়া চিঠি থেকে রয়টার্স এ তথ্য জানতে পারে। চিঠিটি ওপেনএআইয়ের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে প্রায় ৫০০ জন কর্মী চাকরি ছেড়ে দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে।

আজ ওপেনএআই সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট দিয়ে জানায়, 'আমরা স্যাম অল্টম্যানকে ওপেনএআইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ফিরিয়ে আনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ছাড়া,  ব্রেট টেলর (সভাপতি), ল্যারি সামার্স ও অ্যাডাম ডি'অ্যাঞ্জেলোর সমন্বয়ে নতুন বোর্ডও গঠন করা হবে। 

এ সপ্তাহে মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা জানান, তিনি একটি এআই গবেষণা দলের নেতৃত্ব দিতে স্যাম অল্টম্যানকে নিয়োগ দেবেন।

অল্টম্যান জানিয়েছেন, ওপেনএআইতে ফেরার বিষয়টিতে নাদেলার সমর্থন পেয়েছেন তিনি।

চ্যটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই প্ল্যাটফর্মগুলো বড় আকারের তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করে যেকোনো সহজ বা জটিল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। এমন কী, উত্তরের ভাষা পড়েও মনে হবে কোনো মানুষ এই উত্তরটি দিয়েছে।

একই প্রযুক্তি ব্যবহারে ছবি তৈরি বা এডিটও করা সম্ভব।

এই প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে বিতর্ক থেমে নেই, বিশেষত 'ডিপফেক' ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইলিং বা ছবিতে অন্য ধরনের কারসাজি করে অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যে তথ্য ছড়ানোর মতো বিষয়গুলো বেশ স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচিত।

 

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

17h ago