ওপেনএআই কিনে নিতে মাস্কের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান অল্টম্যানের

স্যাম অল্টম্যান ও ইলন মাস্ক। ছবি: সংগৃহীত

ইলন মাস্কের নেতৃত্বে একদল বিনিয়োগকারী চ্যাটজিপিটির মূল প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই কিনে নিতে ৯৭ দশমিক চার বিলিয়ন ডলারের একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার সঙ্গে সঙ্গে উল্টো মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন ওপেনএআই সিইও স্যাম অল্টম্যান।  

সিএনএন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতো বেশ কিছু মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।

২০১৫ সালে একসঙ্গে ওপেনএআই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মাস্ক ও অল্টম্যান। এই দুজনের মাঝে দীর্ঘদিন এই কোম্পানির নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলার পর ২০১৮ সালে ওপেনএআইয়ের পরিচালক পর্ষদ থেকে সরে দাঁড়ান মাস্ক। এর পর থেকেই কোম্পানিটির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছেন তিনি।

গত বছর ক্যালিফোর্নিয়ার একটি রাজ্য আদালতে এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় আদালতে ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন মাস্ক। তার অভিযোগ, যেই অলাভজনক লক্ষ্য নিয়ে গড়া তোলা হয়েছিল ওপেনএআই, সেখান থেকে সরে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি।  

টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাস্ক ২০১৮ সাল পর্যন্ত সংস্থাটিতে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মার্ক টোবারফ।

টোবারফ আরও বলেন, চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একে আবার অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মিশনে ফিরিয়ে নিতে আগ্রহী মাস্ক ও তার সহযোগী বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলো।

স্যাম অল্টম্যান দ্রুত এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পোস্ট দিয়ে মাস্কের উদ্দেশ্যে বলেন, 'না ধন্যবাদ, তবে আপনি চাইলে আমরা নয় দশমিক সাত চার বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নিতে পারি।'

মাস্কের প্রস্তাবকে কতটা গুরুত্ব সঙ্গে নিচ্ছেন, সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির এই প্রশ্নের জবাবে অল্টম্যান বলেন, 'তেমন না।'  

প্যারিসে চলমান এআই শীর্ষ সম্মেলনে আরেক প্রশ্নের জবাবে অল্টম্যান বলেন, 'আমার ধারণা একজন প্রতিদ্বন্দ্বীকে দমিয়ে নিজের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা করছে (মাস্ক)।'  

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

17h ago