পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর-নির্যাতন-আটকের অভিযোগ
মানিকগঞ্জে অভিযানের নামে বিএনপি নেতার বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে একজনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রিমনের বাড়িতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এই বিএনপির নেতার অভিযোগ, পুলিশ তার বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রিপন মিয়াকে আটক ও শারীরিক নির্যাতন করে এবং তল্লাশির নামে বাড়ির ভেতরে তছনছ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার রিপন মিয়ার বাড়ি একই উপজেলার সরুপাই গ্রামে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে তিনি স্ত্রী-কন্যাসহ কর্মস্থল ময়মনসিংহে থাকেন।
গতকাল তিনি ছুটিতে নিজ এলাকায় আসেন এবং রাতে বন্ধু সাইফুলের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম রিমন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা পরিবার নিয়ে সাভারে থাকি। বাড়িতে একজন কেয়ারটেকার এবং স্থানীয় মাদ্রাসার এক শিক্ষক থাকেন। আমরা ঈদসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময়ে বাড়িতে আসি।'
'বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৩টার দিকে ১৫-২০ জন পুলিশ পরিচয়ে বাড়ি ঘিরে ফেলে। এরপর তারা টিনের গেট ভেঙে বারান্দার গ্রিলের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। ঘরের ভেতরে কেয়ারটেকার ও রিপন মিয়া ঘুমাচ্ছিলেন। ঘরে ঢুকে পুলিশ আমাকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে তারা রিপনকে পেয়ে শারীরিক নির্যাতন করে এবং আটক করে,' বলেন সাইফুল।
বাড়ির কেয়ারটেকারের কাছে পুলিশের অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি গরিব মানুষ। দয়া কইরা আমার নাম, ভিডিও, ছবি প্রকাশ কইরেন না। আমার ক্ষতি হইব।'
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাড়িতে থাকা মাদ্রাসা শিক্ষক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই ঘরে কী হইছে, আমি জানি না। শব্দ পাইছি। আমার ঘরেও আইছিল। বাড়িতে কেউ আছে কিনা, খোঁজাখুঁজি করছে।'
রাতে অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
তার দাবি, 'ভাঙচুর, বাড়ির ভেতর তছনছ কিংবা শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ সত্য নয়।'
ওসি বলেন, 'রিমনসহ বাড়িতে আরও কেউ আছে কি না, তা নিশ্চিত হতে সব ঘরেই তল্লাশি চালানো হয়েছে।'
Comments