ঝিনাইদহের ল্যাংচা: দিনে বিক্রি ৬০০ কেজি, দাম জানলে অবাক হবেন

ঝিনাইদহের ল্যাংচা
ছবি: আজিবর রহমান/ স্টার

ঝিনাইদহে কালীগঞ্জে যে মিষ্টিটিকে এক নামে সবাই চেনে, সেটি ল্যাংচা মিষ্টি। শুধু ঝিনাইদহ নয়, আশপাশের জেলাতেও এই মিষ্টি দারুণ জনপ্রিয়। সকাল থেকেই তাই মিষ্টির দোকানে শুরু হয় জমজমাট বেচাকেনা। দুপুর ১২টার পর আর কোনো মিষ্টি অবশিষ্ট থাকে না।

এই মিষ্টির কেজি ১৪০ টাকা। প্রতি কেজিতে থাকে ১১ পিস। এত কম দামে সুস্বাদু মিষ্টি মেলায় এর চাহিদা বছরজুড়েই থাকে। কালীগঞ্জ সদরের ফয়লার কোলা রোডে এই মিষ্টির দোকানের অবস্থান। 

এলাকাবাসী জানান, ল্যাংচা প্রথম বিক্রি শুরু করেন সুবল গাড়াল। ১৫ বছর আগে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর থেকে তার ছেলেরা এই ব্যবসার হাল ধরেন। দুজন দুটি দোকান চালান। একটির নাম 'সুবল ল্যাংচা' ও আরেকটির নাম 'মেজদার জলযোগ।'

চলছে বেচাকেনা। ছবি: আজিবর রহমান/ স্টার

কথা হয় সুবলের ছেলে শ্যামল কুমারের সঙ্গে।

শ্যামল কুমার বলেন, 'বাবার মৃত্যুর পর আমি ও আমার মেজো দাদা এই ব্যবসার হাল ধরি। আমার দোকানের নাম সুবল ল্যাংচা ও দাদার দোকানের নাম মেজদার জলযোগ। প্রতিদিন দুই দোকানে প্রায় ৬০০ কেজি মিষ্টি বিক্রি করি। ১০ জন লোক প্রতিনিয়ত আমাদের দোকানে কাজ করেন। যশোর, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ফরিদপুর, খুলনা ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এই মিষ্টি সরবরাহ করা হয়। দুপুর ১২টার পর আর কোনো মিষ্টি অবশিষ্ট থাকে না।'

'আপনি একবার আমার এই মিষ্টি যদি খান, আবার খেতে ইচ্ছা হবে। যেমন নরম, তেমন স্বাদ', যোগ করেন তিনি।

ছবি: আজিবর রহমান/ স্টার

এই সময়ে এসে কম দামে কীভাবে মিষ্টি দিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বাবা অনেক বছর ব্যবসা করেছেন। এখন নানা জেলা থেকে মানুষ কেনে, আমাদের বিক্রি অনেক বেশি। তাই এখনও কম দামে দিতে পারছি, আমাদের পুষিয়ে যাচ্ছে।'

কথা হয় মিষ্টির ক্রেতাদের সঙ্গেও।

সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা বলেন, 'স্কুলের বিভিন্ন মিটিংয়ে আমরা এই মিষ্টি পরিবেশন করি। অত্যন্ত সুস্বাদু।'

কালীগঞ্জের ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, 'অতিথি আপ্যায়নে এই মিষ্টির কোনো তুলনা নেই।'

সলিমুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরীজা সিদ্দিক ও ফাতেমা ইসলাম রুহানি আক্তার রিনি বলে, 'এই দোকানটা আমাদের স্কুলের সামনে। আমাদের অতি প্রিয় এই মিষ্টি। খুবই সুস্বাদু। বিরতির সময় আমরা কিনে খাই।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

1h ago