‘বেতন বাড়াতে সমস্যা হলে নিত্যপণ্যের দাম কমান’

পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন
রাজধানীর মিরপুর-১১ সেকশনে মূল সড়কে কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের অবস্থান। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

বেতন বৃদ্ধি ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা।

আজ বুধবার সকালে মিরপুর-১১ সেকশনে মূল সড়কে কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের অবস্থান করতে দেখা যায়।

কয়েকজন পোশাক শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে ছয়-সাতটি কারখানার শ্রমিকরা মিলে মিরপুর-১১ সেকশনে মূল সড়ক অবরোধ করেন।

তারা আরও জানান, বেতন বৃদ্ধি ও গতকাল ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে আজও তারা রাস্তায় নেমেছেন।

এক শ্রমিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশ কেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলো না? পুলিশের সহায়তায় ক্ষমতাসীনরা নিরীহ শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এর প্রতিবাদে আজ আমরা কর্মবিরতি পালন করছি।'

পোশাক কারখানা এপিলিয়ন'র এক শ্রমিক নাম প্রকাশ না করে বলেন, 'আমি গত ১১ বছর ধরে কয়েকটি গার্মেন্টসে মেশিন অপারেটর হিসেবে কাজ করছি। বর্তমানে আমার বেতন ১০ হাজার ৭০০ টাকা। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ করি। আমার দুই সন্তানকে ঘরে রেখে কাজে আসি। এই টাকায় আমার মাসের ১৫ দিনও চলে না।'

তিনি আরও বলেন, 'যদি বেতন বাড়াতে সমস্যা হয় তাহলে নিত্যপণ্যের দাম কমানো হোক। বাসা ভাড়া কমানো হোক। আমরা যে টাকা বেতন পাই তা দিয়ে যে সারা মাস চলতে পারি সেই ব্যবস্থা করা হোক।'

অপর এক শ্রমিক বলেন, 'আমরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না। আমরা আমাদের বেতন বৃদ্ধির জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছি। অথচ ক্ষমতাসীন দলের লোকজনদের দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। গার্মেন্টসকর্মীর জীবনকে এত সস্তা করে দেখা উচিত না।'

সকালে সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১১ সেকশনে মূল সড়কে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দেখা গেলেও পোশাক শ্রমিকদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তারা সেখান থেকে চলে যান।

সকাল ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কারো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh exports to EU

RMG exports to EU rise by 2.99% in Jan-Nov

In the 11 months, Bangladesh shipped garments worth $18.15 billion, second highest after China

1h ago