ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলায় দেশের ২৭ নাগরিকের উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি

ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণে গাজায় অসংখ্য দালান ধ্বংস হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণে গাজায় অসংখ্য দালান ধ্বংস হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশের ২৭ নাগরিক।

আজ রোববার পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমরা সম্প্রতি অবরুদ্ধ গাজা এলাকায় ফিলিস্তিনবাসীদের ওপর ইসরায়েলের হামলায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অবরুদ্ধ এলাকায় উপর্যুপরি অত্যাধুনিক সশস্ত্র আক্রমণের শিকার হচ্ছে শিশু, নারীসহ সাধারণ মানুষ।'

'বিদ্যুৎ, পানিসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ বন্ধ করার ফলে মানবিক বিপর্যয় চরম পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। আমরা মনে করি, নিরীহ জনসাধারণের ওপর নিপীড়ন, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।'

'ফিলিস্তিনবাসীদের আপন বাসভূমি থেকে উৎখাত করে ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টি করা হয়েছিল। তারপর থেকে ধারাবাহিক ভাবে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার অধিবাসীরা নিজ ভূখণ্ডে উদ্বাস্তু জীবনযাপন করে চলেছে।'

'সমগ্র ভূখণ্ড থেকে সরে এসে মাত্র একটি করিডর নির্ভর গাজা এলাকায় বসবাস করতে বাধ্য করা হয়েছে। সেখানেও জাতিসংঘের প্রস্তাব উপেক্ষা করে ইসরায়েল নতুন বসতি স্থাপনে লিপ্ত রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত ইসরায়েল এই সব অপকর্মে পশ্চিমা শক্তির সামরিক, বেসামরিক ও তথ্য মাধ্যমের সর্বাত্মক সহযোগিতা লাভ করে চলেছে।'

'আমরা সব ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিরোধিতা করি। আমাদের ধারণা,  দীর্ঘদিনের বঞ্চনার বিরুদ্ধে পার্শ্ববর্তী আরবদেশসহ বিশ্ববাসীর নীরব ভূমিকা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সশস্ত্র যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছে।'

'তা স্বত্বেও হামাস বাহিনীর অতর্কিত ইসরায়েলে বেসামরিক নাগরিক, স্থাপনায় ও বিভিন্ন দেশের লোকজনের ওপর আক্রমণ অনভিপ্রেত। বর্তমান অসহনীয় পরিস্থিতি সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নয়, বরং সামগ্রিক বঞ্চনার ধারাবাহিকতার প্রতিরোধ রূপে বিবেচনা করা সমীচীন।'

'তার বিপরীতে ইসরায়েল সরকার যে অমানবিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে,  তা কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা অবিলম্বে এই মানবিক বিপর্যয়ের অবসান চাই। আমাদের একান্ত কামনা, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে সমস্যার স্থায়ী সমাধান।'

বিবৃতিতে সই করেছেন:

১. সুলতানা কামাল, সাবেক উপদেষ্টা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার

২. রাশেদা কে চৌধুরী, সাবেক উপদেষ্টা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার

৩. রামেন্দু মজুমদার, নাট্যব্যক্তিত্ব

৪. ডা. সারওয়ার আলী, প্রেসিডিয়াম সদস্য, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন ও ট্রাস্টি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

৫. ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সভাপতি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন

৬. ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, সদস্যসচিব, সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চ

৭. ডা. ফওজিয়া মোসলেম, সভাপতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ

৮. ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, সাবেক সভাপতি, বিএমএ

৯. এমএম আকাশ, অধ্যাপক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১০. অ্যাডভোকেট রানাদাশ গুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ রোবায়েত ফেরদৌস- নির্বাহী সভাপতি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন

১১. ড. জুবায়েদা নাসরিন, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১২. ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, শিক্ষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

১৩. অ্যাডভোকেট তবারক হোসাইন, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

১৪. সালেহ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন

১৫. অ্যাডভোকেট পারভেজ হাসেম, আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

১৬. আব্দুল ওয়াহেদ, কার্যকারী সভাপতি, জাতীয় শ্রমিক জোট

১৭. জহিরুল ইসলাম জহির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, খেলাঘর

১৮. ড. সেলু বাসিত, সমাজকর্মী

১৯. ডা. অসিত বরণ রায়, রাজনীতিবিদ

২০. সেলিম রেজা, আহ্বায়ক, সংস্কৃতি মঞ্চ

২১. অলক দাশগুপ্ত, সভাপতি, উঠোন

২২. একে আজাদ, প্রধান সংগঠক, আনন্দন

২৩. জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি

২৪. দীপায়ন খীসা, কেন্দ্রীয় সদস্য, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম

২৫. রেজাউল কবির, সাধারণ সম্পাদক, খেলাঘর

২৬. আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ

২৭. গৌতম শীল, সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল

Comments

The Daily Star  | English
Technical education hit by teacher shortage

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

12h ago