শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি

দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: এপির সৌজন্যে

ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সেদিন বিকেল ৪টার দিকে ১৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস।

আল-জাজিরা জানায়, আজ বৃহস্পতিবার কাতারের দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'যেসব জিম্মি একই পরিবারের, তাদেরকে একই দলে রাখা হবে এবং প্রতিদিন কিছু বেসামরিক নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।'

হামাস যুদ্ধবিরতির চার দিনে মোট ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে বলেও জানান মাজেদ আল-আনসারি।

তিনি বলেন, 'গাজা থেকে জিম্মিদের কোন পথে নিয়ে যাওয়া হবে, নিরাপত্তার কারণে এ সম্পর্কে আমি কোনো তথ্য দিতে পারব না।'

ইসরায়েলের নাগরিক ছাড়া অন্যান্য দেশের জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মাজেদ আল-আনসারি বলেন, 'প্রথমত নারী ও শিশুদের মুক্তি দেওয়া হবে।'

আল-জাজিরার এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'মানবিক সহায়তা এই চুক্তির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা যত দ্রুত সম্ভব রাফাহ ক্রসিং থেকে গাজায় আরও ত্রাণসহায়তা প্রবেশের আশা করছি।'

'আমাদের লক্ষ্য- একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এই চুক্তিটি শেষ করা', যোগ করেন তিনি।

তবে মাজেদ আল-আনসারি জানান যে, ইসরায়েল শুক্রবার কতজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে তা তিনি প্রকাশ করতে পারবেন না।

তিনি বলেন, 'চুক্তিটি যেহেতু পারস্পরিক, সেহেতু আমরা ইসরায়েলি পক্ষ থেকেও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি প্রত্যাশা করছি।'

কেউ যুদ্ধবিরতি চুক্তির কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে মাজেদ আল-আনসারি বলেন, 'চার দিন যুদ্ধ সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার শর্তে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছে। ফলে এই সময়ের মধ্যে কেউ শত্রুভাবাপন্ন আচরণ করলে এই চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন হবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

7h ago