আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে যে 'প্রথম' দেখল বিশ্বকাপ

এক ম্যাচে চার চারটি সেঞ্চুরি, সে তো বিরল!

পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে যে 'প্রথম' দেখল বিশ্বকাপ

পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা
ছবি: এএফপি

একশটি রান! শতক করা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। ক্রিকেটে চাহিদার কারণেই ব্যাটারদের আলাদা করে চোখ থাকে শতকের দিকে। কিন্ত এক ম্যাচে চার চারটি সেঞ্চুরি, সে তো বিরল! এতটাই বিরল যে, ১৩তম আসরে এসে বিশ্বকাপে প্রথমবারের তা হলো।

গতকাল মঙ্গলবার হায়দরাবাদে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার রান উৎসবের ম্যাচে দুই ইনিংসে হয়েছে দুটি করে সেঞ্চুরি। কুসল মেন্ডিস ৬৫ বলেই শতক পেরিয়ে যান। করেন রেকর্ড, বিশ্বকাপে কোনো শ্রীলঙ্কানের দ্রুততম সেঞ্চুরি। কুসলের পর সাদিরা সামারাবিক্রমা করেন আরেকটি সেঞ্চুরি।

লঙ্কানদের ৩৪৪ রানের জবাবে পাকিস্তানও দুই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে লক্ষ্য তাড়ার রেকর্ড গড়ে ম্যাচ জিতে নেয়। আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান দুজনেই সেঞ্চুরি করেন ঠিক ৯৭ বলে। বিশ্বকাপে এক ম্যাচে দুই পাকিস্তানি ব্যাটারের সেঞ্চুরি আগে কখনও হয়নি।

ওয়ানডে ইতিহাসে আরও দুটি ম্যাচ আছে, যাতে চারটি সেঞ্চুরি হয়েছিল। তবে কোনোটিই বিশ্বকাপের মঞ্চে নয়।

প্রথমটির জন্য ফিরে যেতে হয় সেই ১৯৯৮ সালে। সেটিতেও জড়িয়ে আছে পাকিস্তানের নাম। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ইজাজ আহমেদ ও মোহাম্মদ ইউসুফের শতকে ৩১৫ রান তোলে পাকিস্তান। ইজাজ খেলেছিলেন ১০৯ বলে ১১১ রানের ইনিংস, মোহাম্মদ ইউসুফ ১১১ বলে রান করেছিলেন ১০০।

লাহোরে হওয়া সে ম্যাচে পরে ওপেনিংয়ে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট খেলেন ১০৪ বলে ১০৩ রানের ইনিংস। এরপর রিকি পন্টিংয়ের ১২৯ বলে ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৭ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় অজিরা।

অন্য ম্যাচটির সঙ্গে আবার জুড়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেরই মনে হয়তো উজ্জ্বল স্মৃতি হয়ে আছে সেই ম্যাচ। কারণ তা যে খুব বেশিদিন আগের নয়।

২০১৩ সালে নাগপুরে অসাধারণ ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছিল ভারত। ৬৬ বলে ১১৫ রানের অসামান্য ইনিংস খেলেছিলেন বিরাট কোহলি। তার আগে শিখর ধাওয়ান করেছিলেন ১০২ বলে ১০০ রান।

অস্ট্রেলিয়া সাড়ে তিনশর পুঁজি গড়েছিল শেন ওয়াটসন ও জর্জ বেইলির সেঞ্চুরিতে। ওয়াটসন ৯৪ বলে ১০২ রানে আউট হয়ে গেলেও বেইলি ১১৪ বলে ১৫৬ রান করার আগে থামেননি বেইলি। 

সবমিলিয়ে ওয়ানডে ইতিহাসে এই তিনটি ম্যাচই আছে, যেখানে সেঞ্চুরি হয়েছে, একটি দুটি বা তিনটি নয়, চারটি!

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

3h ago