আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

‘অনেক হৃদয়ভাঙা গল্পের পর এবার আমাদের সময়’

১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭, ২০১৫- বিশ্বকাপ মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার গল্পগুলো স্রেফ হৃদয়ভাঙার। প্রায় প্রতিবারই দুর্দান্ত দল নিয়ে অসাধারণ ক্রিকেট উপহার দিয়ে নকআউট ধাপে গিয়ে গড়বড় করেছে তারা। কখনো আবার বৃষ্টির নির্দয় সমীকরণ ধসিয়ে দিয়েছে প্রোটিয়াদের স্বপ্ন

বলছেন এবিডি ভিলিয়ার্স

‘অনেক হৃদয়ভাঙা গল্পের পর এবার আমাদের সময়’

AB De Villiers | ‘অনেক হৃদয়ভাঙা গল্পের পর এবার আমাদের সময়’
ছবি: বিসিসিআই

১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭, ২০১৫- বিশ্বকাপ মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার গল্পগুলো স্রেফ হৃদয়ভাঙার। প্রায় প্রতিবারই দুর্দান্ত দল নিয়ে অসাধারণ ক্রিকেট উপহার দিয়ে নকআউট ধাপে গিয়ে গড়বড় করেছে তারা। কখনো আবার বৃষ্টির নির্দয় সমীকরণ ধসিয়ে দিয়েছে প্রোটিয়াদের স্বপ্ন। তবে এবার আর কোন যন্ত্রণা নয়, প্রথমবারের মতো নিজেদের ফাইনালে দেখছেন দেশটির কিংবদন্তি ব্যাটার এবিডি ভিলিয়ার্স।

বৃহস্পতিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। যে অস্ট্রেলিয়ার কাছে দুইবার সেমিতে হেরে বিদায় নেওয়ার যন্ত্রণার ইতিহাস আছে তাদের।

২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিতে অকল্যান্ডে প্রোটিয়াদের অধিনায়ক ছিলেন ভিলিয়ার্স। সেই ম্যাচে ৪৫ বলে ৬৫ রানের ইনিংসও খেলেছিলেন অধিনায়ক। গ্র্যান্ট এলিয়টের বীরত্বে যে ম্যাচ ৪ উইকেটে জিতে নেয় নিউজিল্যাড। ২০০৭ সালে দুর্ধর্ষ অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল সেমিতে। তার আগের সেমিতে হারার গল্পগুলো আরও করুণ।

১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিতে হারেনি তারা। ম্যাচ হয়েছিল নাটকীয়ভাবে টাই।  তবে সুপার সিক্সে জেতার সুবাদে এগিয়ে থাকায় ফাইনালে উঠে যায় অজিরা। সেবার ল্যান্স ক্লুজনার দুর্দান্ত ইনিংস খেলে জেতার প্রান্তে নিয়েও অ্যালান ডোনাল্ডের অদ্ভুত রানআউটে পুড়তে হয়  হতাশায়।

এর আগে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর ১৯৯২ সালে বৃষ্টি আইনের তখনকার অদ্ভুত নিয়মে ফাইনালে যেতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৩ সালে নিজেদের দেশে বিশ্বকাপেও বৃষ্টি তাদের যেতে দেয়নি নকআউট পর্বে। তবে সেবার হিসাব নিকাশ নিজেরাই ভুল করে বসে শন পোলকের দল।

এতগুলো হতাশার গল্প যাদের পেছনে তাদের ভয় তাড়া করাই স্বাভাবিক। তবে আইসিসির সাইটে কলামে ডি ভিলিয়ার্স লিখেছেন এবারের দলটা বদলে দেবে সব ইতিহাস, এবার তাদেরই সময়,  'অনেক হৃদয়ভাঙা গল্পের পর আমার অনুভব হচ্ছে এবার আমাদের সময়। এই দলটা ইতিহাসের বোঝা বহন করছে না। অবশ্যই চাপ থাকবে কারণ এটা সেমিফাইনাল। কিন্তু নতুন দিনে প্রথমবার বড় লাফ না দেওয়ার কোন কারণ নেই। আমি সত্যিই আশা করছি তারা পারবে।'

২০১৫ সালে হারের স্মৃতি বহন করছেন ভিলিয়ার্স। তবে সেই দলের সঙ্গে মিলিয়ে এবারের দলকে সব দিকে এগিয়ে রাখছেন তিনি, 'আট বছর হতে চলল। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক প্রেক্ষাপট বদল হয়েছে। কেবল কুইন্টেন ডি কক আর ডেভিড মিলার আছে সেই দলের। টেম্বা বাভুমার নেতৃত্বে এই দলটা খুবই ভারসাম্যপূর্ণ, বাকি সেরা দলগুলোর মতই। টপ অর্ডার কেবল ছন্দই না, প্রতিটা শুরু শতরানের দিকে নিচ্ছে। অনেকগুলো সেঞ্চুরি পাওয়া গেছে।'

'বোলিং আক্রমণও দারুণ করছে। মার্কো ইয়ানসেন ও লুঙ্গি এনগিদি নতুন বলে উইকেট নিচ্ছে। কাগিসো রাবাদা ও জেরাল্ড কোয়েটজি ধস নামাচ্ছি প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের। এরপরই কেশব মহারাজ এসে হানা দিচ্ছে। এই পাঁচজন যদি খেলে অস্ট্রেলিয়ার জন্য প্রচণ্ড হুমকি হবে।'

এবার বিশ্বকাপে আগে ব্যাট করলে প্রতিপক্ষের বোলিং গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। কিন্তু রান তাড়া করতে গেলেই কেমন কুঁকড়ে যাচ্ছেন তারা। এই সংকট জানেন ভিলিয়ার্সও। তবু মনের ভেতর থেকে পাওয়া ইতিবাচক সংকেতে এবার আশাবাদী প্রাক্তন এই বিধ্বংসী ব্যাটার, 'আমরা জানি টস খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করে। তারা জিতে এবং বড় ব্যবধানেই জেতে। প্রতিবারই তিনশোর বেশি করে। রান তাড়ায় কিছু সমস্যা আছে, স্নায়ুও কাজ করে। আশা করছি সেটা তারা সামাল দেবে।'

Comments

The Daily Star  | English

US tariff threatens booming synthetic shoe exports

The country’s growing non-leather footwear industry now faces a major setback as a steep new tariff from the United States threatens its growth

13h ago