আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

মেন্ডিসের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার বড় পুঁজি

৬৫ বলে মেন্ডিসের সেঞ্চুরির পর সাদিরা সামারাবিক্রমাও সেঞ্চুরি হাঁকালেন।

মেন্ডিসের রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার বড় পুঁজি

৬৫ বলে মেন্ডিসের সেঞ্চুরির পর সাদিরা সামারাবিক্রমাও সেঞ্চুরি হাঁকালেন।
পাকিস্তান বনাম শ্রীলঙ্কা
ছবি: এএফপি

চলতি বিশ্বকাপে যেভাবে রান উৎসব চলছে, কত বলে সেঞ্চুরি হলো, তা আলাদা করে খেয়াল রাখতে হয়। কুসল মেন্ডিস যেমন রেকর্ড গড়েই ফেললেন পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার দ্রুততম সেঞ্চুরি এলো তার ব্যাট থেকে। ৬৫ বলে মেন্ডিসের সেঞ্চুরির পর সাদিরা সামারাবিক্রমাও সেঞ্চুরি হাঁকালেন।

ভারত বিশ্বকাপে মঙ্গলবার হায়দরাবাদে এই দুজনের ব্যাটে এক পর্যায়ে চারশ ছাড়ানোর সুবাস পাচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্ত শেষের দিকে পাকিস্তানি বোলাররা রানের স্রোত আটকাতে পারেন যথেষ্ট। লঙ্কানরা তাই ৯ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ৩৪৪ রানের উপরে নিয়ে যেতে পারেনি।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। কুসল পেরেরা 'ডাক' মেরে আউট হওয়ার পর যদিও পাথুম নিসাঙ্কা ও মেন্ডিস মিলে চাপ গায়ে লাগতে দেননি। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লে তারা শেষ করেন ৫৮ রানে।

১৮ রানে থাকা অবস্থায় মেন্ডিসের ক্যাচ উঠেছিল পয়েন্টে, কিন্ত ইমাম উল হক তা ফেলে দেন। এরপর মেন্ডিস সময়ের সঙ্গে শুধু পাকিস্তানের আফসোসই বাড়ান। লাইন-লেংথে সামান্য হেরফের করলেই হন চড়াও।

অপর প্রান্তে নিসাঙ্কা ৬১ বলে ৫১ রান করে আউট হওয়ার পর সামারাবিক্রমা-মেন্ডিস জুটিতে রান আসতে থাকে আরও দ্রুত। ১৭তম ওভারে শতক পূর্ণ করা শ্রীলঙ্কা তাদের রান দুইশর উপরে নিয়ে যায় ২৮তম ওভারেই।

সেঞ্চুরির পর 'শুধুই আক্রমণ' নীতিতে গিয়ে মেন্ডিস ১২২ রানে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ৭৭ বলের ইনিংসে দৃষ্টিনন্দন ১৪টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা মারেন তিনি। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার জার্সিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির আগের রেকর্ডটি এসেছিল ২০১৫ সালে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা।

মেন্ডিস ফেরার পর চারিথ আসালাঙ্কা দ্রুত ফিরে যান। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও বেশিদূর এগোতে পারেননি। একপাশ আগলে সামারাবিক্রমা সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন ৮২ বলে। তবে অপর প্রান্তে সাহায্য পায়নি শ্রীলঙ্কা। সামারাবিক্রমা ৮৯ বলে ১০৮ রানে আউট হন ১১টি চার ও ২টি ছক্কা মেরে।

শেষ ১০ ওভারে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে লঙ্কানরা। শেষ ৬০ বলে তারা আনে মাত্র ৬১ রান। পাকিস্তানের পেসার হাসান আলি, হারিস রউফরা মিলে রানের চাকায় দেন লাগাম। হাসান ১০ ওভারে ৭১ রান দিলেও সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। রউফ ৬৪ রানে পান ২ উইকেট। 

Comments