আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

শেষের ঝড়ে তিনশ ছাড়িয়েই গেল নিউজিল্যান্ড

তিনজনের ফিফটির সঙ্গে মিচেল স্যান্টনারের শেষের ঝড়ে তিনশ ছাড়িয়েই যায় কিউইরা।

শেষের ঝড়ে তিনশ ছাড়িয়েই গেল নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ড বনাম নেদারল্যান্ডস
ছবি: এএফপি

তিনশ রানের কমে আটকানো, বল হাতে নেদারল্যান্ডসের প্রথম লক্ষ্য নিশ্চয়ই এটা ছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে তা পারলেও নিউজিল্যান্ডকে রুখতে পারেনি তারা। যদিও ইনিংসের বেশিরভাগ সময়ে পিছিয়ে থাকলেও শেষের দিকে টানা উইকেট নিয়ে সেরকম কিছুর আভাস দিয়েছিল দলটি। উইল ইয়ং, রাচিন রবীন্দ্র, টম ল্যাথাম- কাউকেই খুব বড় স্কোর করতে দেয়নি ডাচরা। তবে এই তিনজনের ফিফটির সঙ্গে মিচেল স্যান্টনারের শেষের ঝড়ে তিনশ ছাড়িয়েই যায় কিউইরা।

বিশ্বকাপে সোমবার হায়দরাবাদে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ৩২২ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। মাঝে ১৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর শেষ ৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে তারা যোগ করে ৬০ রান।

ফিল্ডিং নেওয়ার পর নেদারল্যান্ডস শুরুটা করেছিল দুর্দান্ত। আরিয়ান দত্তের নিয়ন্ত্রিত অফ ব্রেকে দুই ওভার মেডেন, অপর প্রান্তে রায়ান ক্লেইনের আরেক মেডেনে প্রথম তিন ওভারে কিউইরা রান করে শূন্য।

দুজনেই পরে রান বিলিয়ে দিতে থাকেন, পরের ছয় ওভারের প্রত্যেকটিতে দুটি করে বাউন্ডারি আনে নিউজিল্যান্ড। প্রথম পাওয়ারপ্লে বিনা উইকেটে ৬৩ রানে শেষ করার ১৩তম ওভারে প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ডেভন কনওয়ে ফিরে যান ৩২ রান করে। 

রবীন্দ্রর সঙ্গে ইয়ংয়ের জুটিতে রানের গতি কমাতে সমর্থ হয় ডাচরা। তবে কিউইরা ১ উইকেটে শতরান পেরিয়ে যায় ২০তম ওভারে। সেঞ্চুরির পথে এগিয়েই যাচ্ছিলেন ইয়াং। কিন্ত ৭০ রানে থাকা অবস্থায় মিসটাইমিং করে ফিরে যান ক্যাচ দিয়ে। তার ৮০ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ২ ছক্কা।

ড্যারিল মিচেল-রবীন্দ্রর জুটির ব্যাটে এরপর রানের চাকা দ্রুত ঘুরতে থাকে। রবীন্দ্র ফিফটি পেয়ে যান ৫০ বলে। এরপরই যদিও ডাউন দ্য লেগের এক বলে কিপারের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ৫১ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৫১ রানে থামেন তিনি।

মিচেলের সঙ্গী হওয়া ল্যাথামও ফিফটি পূর্ণ করে ফেলেন কিছুক্ষণ পর, ৪৩ বলে। শেষ ১০ ওভারে কিউইরা প্রবেশ করে ৩ উইকেটে ২৩৮ রান নিয়ে। বড় স্কোরের জন্য ভিত্তি প্রস্তুত, কিন্ত ওখানেই লড়াইয়ে ফেরার আশা জাগায় ডাচরা।

৪১তম ওভারের প্রথম বলেই পল ফন মিকেরেনের অফ কাটারে বোল্ড হয়ে যান মিচেল। ৪৭ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৪৮ রান করেন তিনি। ৪ রান করেই ফিলিপসও একই পথ ধরেন ড্রাইভ করতে গিয়ে আউট হয়ে।

মার্ক চ্যাপমান এসে ইনিংস শুরু করতেই ভোগান্তিতে পড়েন। ১৩ বলের ইনিংসটা তার ৫ রানের চেয়ে বড় হয়নি। ১৬ রানের ভিতরে ৩ উইকেট তুলে নেয় নেদারল্যান্ডস। কিন্ত শেষের দিকে বাধে বিপত্তি। শেষ দশ ওভারের প্রথম ৪২ বলে ডাচরা মাত্র ৩৪ রান দিয়েছিল। শেষ তিন ওভারে ৫০ রান দিয়ে এরপর কিউইদেরকে ৩২২ এর আগে থামাতে পারেনি।

স্যান্টনার ১৭ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে তিনটি চার ও দুটি ছক্কা। ডাচদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আরিয়ান, ফন মিকেরেন ও রোলফ ফন ডার মারওয়ে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

10h ago