বলছেন ম্যাচ সেরা মিরাজ

‘ব্যাটিং নিয়ে অনেক কাজ করেছি, নিজেকে প্রস্তুত করেছি’

ম্যাচ সেরা মিরাজ

'মেহেদী হাসান মিরাজ, ভার্সন-টু', এভাবে বললে বোধহয় ভুল বলা হয় না। তাকে আগে দলে বিবেচনায় করা একজন অফ স্পিনার, যিনি ব্যাটিং পারেন। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে মিনি অলরাউন্ডার এবং এখন তাকে বিবেচনায় করা হয় পুরোপুরি অলরাউন্ডার হিসেবেই।

মিরাজের হাত ধরেই শনিবার ধর্মশালায় বাংলাদেশ পেয়েছে তাদের প্রথম জয়। বল হাতে ২৫ রানে ৩ উইকেট পাওয়ার পর তিনে নেমে রান তাড়ায় করেন দলকে ভরসা দেওয়া ফিফটি (৭৩ বলে ৫৩)। ম্যাচ সেরার বিবেচনা ছিল অতি সহজ কাজ।

গত বছর ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ভীষণ চাপে করেন অপরাজিত সেঞ্চুরি। তখন খেলতেন আটে। এরপর সাতে উঠে মাঝারি কিছু ইনিংস খেলার পর এশিয়া কাপে দলের প্রয়োজনে তাকে নিতে হয় ওপেনারের ভূমিকা। এই আফগানদের বিপক্ষেই করেন বাজিমাত। ১১৯ বলে তার অপরাজিত ১১২ রানের ইনিংস সেদিন বাংলাদেশকে তোলে সুপার ফোরে।

এবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষেই পেলেন হাফ সেঞ্চুরি। এবারও নামলেন টপ অর্ডারে। তিনে নামার আভাস অবশ্য ছিলই। বিশ্বকাপের আগে ওয়ার্মআপ ম্যাচে তাকে উপরে ব্যাট করে দুই ফিফটি (৬৭* ও ৭৪) করতে দেখা গেছে।

ম্যাচ শেষে দলের হয়ে কথা বলতে এসে জানালেন ব্যাটিং নিয়ে তার চিন্তার জগত এখন ভিন্ন,  'ভারত সিরিজ থেকে ব্যাটিংয়ে রান হচ্ছে। আমি ব্যাটিং নিয়ে অনেক কাজ করেছি, চিন্তা করেছি। ওভাবে নিজেকে অনেক প্রস্তুত করেছি। অবশ্য দলও আমাকে সমর্থন করেছে, সেই সঙ্গে আমিও পারফর্ম করছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।'

কেবল রান পাওয়া নয় মিরাজ প্রয়োজন মেটাচ্ছে ফ্লোটার হিসেবে। কখনো তাকে খেলতে হয় আটে, কখনো সাতে। কখনোবা আবার মেটাচ্ছেন টপ অর্ডারে খেলার চাহিদা। এসব পজিশনের ভূমিকাও তাকে ভিন্ন। তবে এতসব না ভেবে খোলামনে মনে থেকে এগুনোর মন্ত্র তার,  'বিভিন্ন পজিশনে বিভিন্ন পরিস্থিতি থাকে। কিন্তু আমি বেশি কিছু নিয়ে চিন্তা করার চেষ্টা করি না। আমি চিন্তা করি , যেহেতু আমাকে সুযোগ দিয়েছে, আমি চেষ্টা করি সেটি কাজে লাগানোর জন্য। ৮ নম্বরের চেয়ে উপরে যেকোনো পজিশনে ব্যাটিং করা ভালো। আমি সেই জিনিসটি বিশ্বাস করি নিজের কাছে, আমি ব্যাটিং করতে পারি। দিনশেষে দলও সহায়তা পাবে যদি আমি ভালো খেলতে পারি।'

ব্যাটিংয়ের আগেই নিজের আসল ভূমিকাতে এদিন নৈপুণ্য দেখান তিনি। প্রথম ওভারে এলোমেলো থাকার পর দ্রুতই নিজেকে মানিয়ে নেন। স্পটে বল ফেলে আদায় করে নেন উইকেটের টার্ন, 'আমি প্রথম ওভার ভালো বল করিনি। তখন সাকিব ভাই বলেছে, "নেতিবাচক চিন্তা করিস না, ওরা যদি মেরে দেয় সমস্যা নেই। কিন্তু তুই তোর চিন্তায় থাক।" যখন পানি পানের বিরতি তখন বলেছে এই কন্ডিশনে কীভাবে করতে হবে। আমিও বুঝতে পেরেছি কি করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

$14b lost to capital flight a year during AL years

Bangladesh has lost around $14 billion a year on average to capital flight during the Awami League’s 15-year tenure, according to the draft report of the committee preparing a white paper on the economy.

7h ago