দেড় বছর পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল শুরু

টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের মধ্যে চলাচলকারী জাহাজ। ছবি: সংগৃহীত

দেড় বছর বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় ৫১৭ জন পর্যটক নিয়ে বারো আউলিয়া জাহাজ টেকনাফের দমদমিয়ায় নাফ নদীর বিআইডব্লিউটিএ জেটি থেকে যাত্রা করে। দুপুর সাড়ে ১২টায় জাহাজটি সেন্টমার্টিন জেটিতে পৌঁছায়।

নাফ নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে গত বছরের মার্চে এ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এবারের পর্যটন মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে বুধবার থেকে জাহাজ চলাচলের খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার থেকেই সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য টিকিট সংগ্রহ করতে বিভিন্ন এজেন্টের কাউন্টারে ভিড় করেন পর্যটকরা। 

টিকিটধারী যাত্রীরা সকাল থেকেই দমদমিয়া জেটি এলাকায় আসতে থাকেন। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তাসহ জাহাজ ব্যবস্থাপনার জন্য টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, টেকনাফ থানা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করে। 

টিকিটধারী যাত্রীরা সকাল থেকেই দমদমিয়া জেটি এলাকায় আসতে থাকেন। ছবি: সংগৃহীত

বিআইডব্লিউটিএর ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক নয়ন শীল সাংবাদিকদের জানান, যাত্রীদের যথাযথ সেবাদান নিশ্চিত করা এবং ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন যেন না করা হয়, তদারকি করা হচ্ছে। 

বারো আউলিয়া জাহাজের ধারণক্ষমতা সাড়ে ৮০০ জন। তবে জাহাজটি আজ ৫১৭ যাত্রী বহন করেছে বলে জানান তিনি। 

টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সরকারের সব নির্দেশনা মেনে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল করতে হবে। পর্যটকদের স্বার্থে প্রশাসন জাহাজ চলাচলের বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করবে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন রোধে কঠোর অবস্থানে থাকবে উপজেলা প্রশাসন।' 

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানব সম্পদ) নাসিম আহমদের নেতৃত্বে একটি দল বারো আউলিয়া জাহাজে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যান। দলটি এ নৌরুটে জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণ করেন। 

পর্যটকরা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবে বলে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জাহাজ মালিক ও ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের নবনির্বাচিত সভাপতি তোফায়েল আহমদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত বছরের ২০ মার্চ থেকে নাফ নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে পর্যটন খাতে বিনিয়োগকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবার মৌসুমের শুরুতে এই রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় কক্সবাজারের পর্যটন খাত অনেকটা চাঙ্গা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

18h ago