গ্লোবাল ফিন্যান্স ম্যাগাজিনের সূচকে ‘ডি গ্রেড’ পেলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর

ডি গ্রেড পেলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
ছবি: গ্লোবাল ফিন্যান্স ম্যাগাজিন

যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ফিন্যান্স ম্যাগাজিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের নিয়ে একটি গ্রেডিং সূচক প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার 'ডি গ্রেড' পেয়েছেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর গ্লোবাল ফিন্যান্স ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইটে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের তিন জন গভর্নর 'এ প্লাস' গ্রেড পেয়েছেন। তারা হলেন- ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস, সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর টমাস জর্ডান ও ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নগুয়েন থি হোং।

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল ভীরাসিংহে পেয়েছেন 'এ মাইনাস' ও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জামিল আহমেদ পেয়েছেন 'সি মাইনাস'। নেপালের মহাপ্রসাদ অধিকারী পেয়েছেন 'বি মাইনাস'। এছাড়া, সিঙ্গাপুরের রবি মেনন 'বি মাইনাস' ও দক্ষিণ কোরিয়ার রি চাং-উং 'এ মাইনাস' পেয়েছেন।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সাময়িকীটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের করোনা পরবর্তী জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল। মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বেশি হলেও টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। তবে, ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। তখন আমদানিকারকরা ডলার ঘাটতির সঙ্গে লড়াই করেছেন। এছাড়া, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্য ব্যয় বেড়েছে এবং মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহায়তা চাওয়া হয়।

বাংলাদেশ নিয়ে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে ২০২২ সালের মূল্যস্ফীতি বহিঃ খাতগুলোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

শ্রীলঙ্কার প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে নন্দলাল বীরাসিংহে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পদে পদোন্নতি পান। নতুন গভর্নর মাত্র দুই মাসের মধ্যে পলিসি রেট ৭০০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে কাজ শুরু করেন। গত মার্চে আইএমএফের ৩ বিলিয়ন ডলারের বেইলআউট চুক্তিতে এই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। জুলাইয়ে দেশটির মূল্যস্ফীতি মে মাসের ২৫ শতাংশ থেকে কমে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০ মাস দুই অঙ্কে থাকার পরে এক অঙ্কে নেমে এসেছে।

গ্লোবাল ফিন্যান্স ম্যাগাজিন বলছে, গত বছর জুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকাররা অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ঝুঁকির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন। গ্লোবাল ফিন্যান্স তাদের সাফল্যকে গ্রেড করেছে এবং আগামী বছর কী করণীয় তা নিয়ে কয়েকজন গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করেছে।

সাময়িকীটি আরও বলেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকারদের জন্য গত বছরের প্রধান কাজ ছিল জাতীয় অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা। এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, যাদের দায়িত্ব ম্যান্ডেট মুদ্রার হার বা আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতার ওপর; তাদেরও মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলা করতে হয়েছে।

গ্লোবাল ফিন্যান্স কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন আর্থিক খাত থেকে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে এই র‌্যাঙ্কিং করেছেন। এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকারদের 'এ প্লাস' থেকে 'এফ' স্কেলে গ্রেড করা হয়েছে। যার মধ্যে 'এ প্লাস' সর্বোচ্চ গ্রেড এবং 'এফ' সর্বনিম্ন।

Comments

The Daily Star  | English

Matarbari project director sold numerous project supplies

Planning Adviser Prof Wahiduddin Mahmud today said the Matarbari project director had sold numerous project supplies before fleeing following the ouster of the Awami League government on August 5.

1y ago