বুড়িমারী স্থলবন্দর: কর্মবিরতি থেকে ফিরলেন শ্রমিকরা, পণ্য লোড-আনলোড শুরু

বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল হওয়ায় একসাথে বহুসংখ্যক পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল শুরু হয়েছে। এতে স্থলবন্দরের রাস্তায় যানজট তৈরি হয়েছে।
বুড়িমারী
বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে তোলা ছবি। ছবি: এস দিলীপ রায়

ছয় দিন কর্মবিরতির পর বুধবার দুপুর থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের লোড-আনলোড শ্রমিকরা।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তাদের কাজে যোগদানের আহ্বান জানালে তারা কাজে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার রাতে বুড়িমারী স্থলবন্দরে শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এদিকে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল হওয়ায় একসাথে বহুসংখ্যক পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল শুরু হয়েছে। এতে স্থলবন্দরের রাস্তায় যানজট তৈরি হয়েছে। এ স্থলবন্দরে প্রায় ৫০০ ট্রাকের পণ্য আনলোড করতে হবে শ্রমিকদের। এখানে তালিকাভুক্ত ২৩০০ লোড-আনলোড শ্রমিকের সাথে সহস্রাধিক অস্থায়ী শ্রমিক পণ্যবাহী ট্রাকগুলো থেকে পণ্য আনলোডের কাজ করছেন।

বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিকলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বুধবার দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর আশ্বাসে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছেন।

'আমরা স্থলবন্দরে কনো  শ্রমিক সর্দারকে দেখতে চাই না। আমরা সরাসরি লেবার হ্যান্ডেলিং ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজের মজুরি পেতে চাই,' তিনি বলেন।

'এই বন্দরে ২২ জন শ্রমিক সর্দার সাধারণ শ্রমিকদের মজুরি আত্মসাৎ করেছেন। তারা কোটিপতি হয়েছেন কিন্তু শ্রমিকদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি,' অভিযোগ করেন তিনি।

বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাকচালক কৃষ্ণ দাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলে, তাদের ট্রাক থেকে পণ্য আনলোড করছেন শ্রমিকরা। মাত্র কয়েকজন ট্রাকচালক ছাড়া সবাই ভারতে চলে গেছেন। শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন এই খবর শুনে ট্রাকচালকরা আসতে শুরু করেছেন।

বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানিকারক-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি রুহুল আমিন বাবুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বন্দরে গেল ছয় দিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। আজ শ্রমিকরা কাজে যোগ দেওয়ায় পণ্য লোড-আনলোড শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতে আমদানি-রপ্তানির পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করছে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াস উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ছয়দিন পর পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করায় রাস্তায় যানজট দেখা দিয়েছে। যানজট নিরসনে কাজ করছে পুলিশ ও সিকিউরিগার্ড। আগামী দুদিনের মধ্যে ট্রাকের সবগুলো পণ্য খালাস করতে পারবেন শ্রমিকরা। জেলা প্রশাসনের ৫ সদস্য তদন্ত কমিটি শ্রমিক অসন্তোষের ব্যাপারে তদন্ত করছে। তদন্ত কমিটি খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে শ্রমিকদের স্বাভাবিকভাবে কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

 

Comments

The Daily Star  | English

$800m repayment to Russia in limbo

About $809 million has piled up in a Bangladesh Bank escrow account to repay loans and interest for the Russia-funded Rooppur Nuclear Power Plant.

8h ago