দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের মতে ভুল পথে অর্থনীতি: জরিপ

শেয়ারবাজার, ব্যাংক খাত, বিমা, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বিএসইসি, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসই,
স্টার ফাইল ইলাস্ট্রেশন

৭০ শতাংশ বাংলাদেশি মনে করেন যে, দেশের অর্থনীতি ভুল দিকে এগোচ্ছে এবং ৪৮ শতাংশ মনে করেন, দেশের রাজনীতি ভুল পথে চলছে।

এশিয়া ফাউন্ডেশন ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের এক যৌথ জরিপের ফলাফলে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ মনে করছে বাংলাদেশের রাজনীতি সঠিক পথে এগোচ্ছে এবং প্রায় ২৫ শতাংশ মনে করেন যে দেশের অর্থনীতি ঠিক দিকেই এগোচ্ছে।

দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণের ধারণা জানতে গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে এ যৌথ জরিপ চালানো হয়। 

সমীক্ষায় অংশ নেয় দেশের ৬৪ জেলার মোট ১০ হাজার ২৪০ জন নারী-পুরুষ। আজ মঙ্গলবার সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

ফলাফলে দেখা যায়, ৫৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন দেশ সামাজিকভাবে সঠিক পথে অগ্রসর হচ্ছে। আর ৩৯ শতাংশ ভিন্নমত পোষণ করেন।

এর আগে ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও একই ধরনের সমীক্ষা চালানো হয়।

২০১৯ সালের তুলনায় এবারের সমীক্ষায় ৩টি দিকেই অংশগ্রহণকারীরা দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নেতিবাচক মতামত দিয়েছেন বলে ফলাফলে দেখা যাচ্ছে।

এতে আরও দেখা যায়, দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর ইতিবাচক মনোভাব উচ্চ আয়ের জনগোষ্ঠীর তুলনায় কমে গেছে।

২০১৯ সালের সমীক্ষায় ৫ হাজার টাকা বা এর চেয়ে কম আয় করে এমন ৮৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর মতে দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে ছিল। এবারের সমীক্ষায় ৩২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী এমন ধারণা পোষণ করেছেন।

অর্থাৎ, ৫২ শতাংশ মানুষ দেশের অর্থনীতির বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থান থেকে সরে এসেছে।

এছাড়া, অধিকাংশ উত্তরদাতার মতে দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। ৮৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, এ সমস্যা তাদের জীবন ও জীবিকার ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে।

গণতন্ত্রের বিষয়ে সমীক্ষায় দেখা গেছে, উত্তরদাতাদের ৫৪ শতাংশ মনে করেন যে বাংলাদেশে এমন রাজনৈতিক পরিবেশ বিদ্যমান যেখানে একদল রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থায় আধিপত্য বিস্তার করে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

48m ago