নারায়ণগঞ্জে শতকরা ২৬ জন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন: সমীক্ষা
নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২৬ জন উচ্চ রক্তচাপে রোগে ভুগছেন। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া শহরবাসীর শতকরা ৭ জনের স্থূলতা আছে। স্থূলতা তাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে ফেলছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) এক সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ সোমবার বিকেলে নগরভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় সমীক্ষার ফলাফল জানানো হয়।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে নারায়ণগঞ্জ সিটির ৩টি অঞ্চলের ৯টি ওয়ার্ডের ১২ হাজার মানুষের ওপর 'উচ্চ রক্তচাপ ও স্থূলতা স্ক্রিনিং' করা হয়।
সেভ দ্য চিলড্রেন ও সিডিসির সহযোগিতায় চলতি বছরের এপ্রিল-জুলাই পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে।
নাসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শেখ মোস্তফা আলীর সভাপতিত্বে সমীক্ষার ফলাফল উপস্থাপনের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ও সেভ দ্য চিলড্রেনের কনসালটেন্ট ডা. নিজাম আলী, ইউনিসেফ প্রতিনিধি ডা. ফারহানা আক্তার প্রমুখ।
ডা. নিজাম আলী জানান, ত্রিশোর্ধ্ব ১২ হাজার মানুষের উচ্চ রক্তচাপ ও স্থূলতা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ২৬ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপ পাওয়া গেছে। ৬ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপের কারণে ঝুঁকিতে আছেন। এছাড়া শহরের ৬ শতাংশের বেশি মানুষের স্থূলতা আছে।
'উচ্চ রক্তচাপ ও স্থূলতা অসংক্রামক হলেও মানুষকে তা মারাত্মক মৃত্যুঝুঁকিতে ফেলে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'সারাবিশ্বে ১৩ শতাংশ মৃত্যুর কারণ উচ্চ রক্তচাপ। স্থূলতা উচ্চ রক্তচাপের একটি বড় কারণ। একটানা ডেস্কে বসে কাজ করা চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের উচ্চ রক্তচাপ বেশি পাওয়া গেছে। কেননা তারা মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন এবং শারীরিক ব্যায়াম কম করে থাকেন।'
জনস্বাস্থ্য শক্তিশালী করতে এই পরিসংখ্যান গুরুত্ব বহন করবে বলে জানান ডা. নিজাম আলী।
তিনি বলেন, 'এই পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে আগামীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকারের পরামর্শ ও সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
সভায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, 'করোনার মতো সংক্রামক রোগ নিয়ে মানুষ যতটা সচেতন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা স্থূলতা নিয়ে ততটা সচেতন নন। সচেতনতা তৈরি হলে এই রোগ হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা যায়, হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।'
Comments