শিং নেই তবু সিংহ: বিএনপি নেতাদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'দেশে জায়গা না পেয়ে বিদেশে গিয়ে কার শিং গজালো, তার খোঁজ আমি নিতে পারব না।'
আজ মঙ্গলবার গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সিঙ্গাপুর যাওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম রবি প্রশ্ন করেন, 'দেশের একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা চিকিৎসার নামে সিঙ্গাপুরে গেছেন এবং সেখানে বৈঠক করেছেন। নির্বাচন এলেই দেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হয়। তারা সেখানে ষড়যন্ত্র করছেন কি না, এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্য নেওয়া যায় কি না। জনগণকে আশ্বস্ত করতে চান কিনা যে এমন কোনো ষড়যন্ত্র হবে না।'
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'যে কয়টা নির্বাচন হয়ে গেল, সেখানে কি জনগণ নির্বিঘ্নে অংশ নিতে পারেনি? কেউ কেউ চেষ্টা করেছে নিজেরাই গোলমাল করে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। কিন্তু সফল হয়নি।'
তিনি বলেন, 'দেশে জায়গা না পেয়ে বিদেশে গিয়ে কার শিং গজালো, তার খোঁজ আমি নিতে পারব না। সিঙ্গাপুর গিয়ে কার শিং গজালো সেটা আমি দেখব কোথা থেকে। তারা সেখানে শিং ধার করতে গেছে কি না, গুঁতা মারবে, বাংলাদেশের জনগণকে নির্বাচন করতে দেবে না, গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করব কে কোথায় গেল, কি করল।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'শিং নেই তবু সিংহ। এ নিয়ে চিন্তার কী আছে।'
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের কাছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ মানে জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণ ভোট দেবে, সেই ভোটে যারা জয়ী হবে, তারা সরকারে আসবে। অংশগ্রহণ বলতে ভোটচোরদের, দুর্নীতিবাজ, খুনি, মানি লন্ডারিং, গ্রেনেড হামলাকারী, জাতির পিতার হত্যাকারী, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী তাদের অংশগ্রহণ? এটা কি জনগণ চায়? তারা অংশ নিলেই বৈধ হবে, অন্য কেউ করলে হবে না? এটা তো হতে পারে না।'
বিএনপি সম্পর্কে তিনি বলেন, 'তাদের প্রতি মানুষের ঘৃণা, এটা মাথায় রাখতে হবে। ২০০৮ সালের পর থেকে তারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না। তারা শুধু বাণিজ্য করে। হয়তো তারা আসবে। নমিনেশন বাণিজ্য করবে। কিছু টাকা পল্টন অফিস, গুলশান অফিস পাবে। আর বাকি টাকা যাবে লন্ডনে। এই তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ। একটা সময় নিজেরাই মারামারি করবে। বলবে, এইতো আমরা ইলেকশন করতে পারছি না। উইথড্র করলাম। এইতো তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া।'
Comments