জয়কে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র’: শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানসহ ৫ জনের ৭ বছর কারাদণ্ড

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের আগে মামুন এবং বিএনপি জোটের একাধিক শীর্ষ নেতা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করে জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
মাহমুদুর রহমান, শফিক রেহমান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের দায়ে সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ ৫ জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

অন্য ৪ আসামি হলেন অধুনালুপ্ত দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন এবং তার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নুর আদালতে আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুর রহমান কাজল। আসামিদের কারাদণ্ডের সঙ্গে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ১ মাস কারাভোগের সাজা দিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে পলাতকদের শাস্তি কার্যকর হবে।

এর আগে প্রসিকিউশন তাদের যুক্তিতর্ক শেষ করে এবং আদালত জয়সহ রাষ্ট্রপক্ষের ১২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলায় শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান উচ্চ আদালত থেকে বিভিন্ন সময় জামিন পেলেও মামলার বিচারকাজ এড়াতে তারা বিদেশে চলে যান।

২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি। চার্জশিটে মামুন, রিজভী ও মিজানুরকে পলাতক এবং শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানকে ষড়যন্ত্রের মূল হোতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মামুন অন্যদের সহায়তা ও মদদ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে।

রিজভী যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের কাছ থেকে জয়ের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে অন্য আসামিদের দিয়েছিলেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের আগে মামুন এবং বিএনপি জোটের একাধিক শীর্ষ নেতা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করে জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

রিজভীকে ২০১৫ সালের মার্চে একটি মার্কিন আদালত একজন বাংলাদেশি রাজনীতিকের তথ্যের জন্য এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ সেই রাজনীতিকের নাম জানায়নি।

২০১৫ সালের ৯ মার্চ ফেসবুক পোস্টে জয় তাকে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের জন্য বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন।

ব্রিটিশ নাগরিক শফিক রেহমান বাংলাদেশে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

6h ago