অপহরণ-হত্যা ষড়যন্ত্র: আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইলেন জয়

সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৪ আসামি কীভাবে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল সেই বর্ণনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ রোববার ঢাকার একটি আদালতে হাজির হয়ে তিনি এই বর্ণনা দেন।
সজীব ওয়াজেদ জয়। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৪ আসামি কীভাবে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল সেই বর্ণনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ রোববার ঢাকার একটি আদালতে হাজির হয়ে তিনি এই বর্ণনা দেন।

সাংবাদিকদের আদালতের ভেতরে থাকার অনুমতি না দেওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে বিবৃতির বিস্তারিত জানা যায়নি।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর ৩০ মিনিটের বেশি সময়ের এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এর আগে একই আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ৯ সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছিলেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবুর বরাত দিয়ে সূত্র জানায়, অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রকারী অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন জয়।

জবানবন্দি শেষে বিকেল ৪টার দিকে তিনি আদালত কক্ষ থেকে বের হন।

নিরাপত্তাজনিত কারণে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবুসহ মাত্র ৪ জন আইনজীবীকে মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা জয়কে অপহরণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ২০১৫ সালের আগস্টে পল্টন থানায় মামলাটি করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি।

চার্জশিটে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানকে 'প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রে'র মূল হোতা এবং মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনকে তাদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

রিজভী আহমেদ সিজার এফবিআই থেকে জয়ের তথ্য সংগ্রহ করে অন্য অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছেন বলেও চার্জশিটে বলা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের আগে মামুনসহ বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৈঠক করে জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

২০১৫ সালের মার্চে একটি মার্কিন আদালত সিজারকে একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের তথ্য সংগ্রহের জন্য এফবিআইয়ের এক বিশেষ এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেন।

মার্কিন বিচার বিভাগ এই রাজনৈতিকের নাম জানায়নি। তবে, ধারণা করা হচ্ছে তিনি জয়।

২০১৫ সালের ৯ মার্চ একটি ফেসবুক পোস্টে জয় তাকে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের জন্য বিএনপি নেতাদের অভিযুক্ত করেন।

শফিকও একজন ব্রিটিশ নাগরিক। তিনি বিবিসিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। ৮০'র দশকে সাপ্তাহিক যায় যায় দিনের সম্পাদক হওয়ার পর তিনি আলোচনায় আসেন।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

6h ago