শিশুকে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করবেন যেভাবে

ডেঙ্গু আক্রান্ত এক শিশু রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ছবি: আমরান হোসেন/স্টার

ডেঙ্গু মশাবাহিত ভাইরাল রোগ। সাধারণত বর্ষাকালে এর প্রকোপ বেড়ে যায়। তবে কয়েক বছর ধরে শুধু বর্ষাকালের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই এডিস মশার আক্রমণ। বছরের অনেকটা সময় জুড়েই থাকছে ডেঙ্গুজ্বর। সবচেয়ে বড় আশঙ্কার কথা হলো, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা অনেক বেশি।

শিশুদের ডেঙ্গু সুরক্ষা মূলত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর নির্ভরশীল।

তাই আপনার শিশুকে প্রাণঘাতী এই রোগ থেকে রক্ষা করতে হলে মেনে চলতে হবে কিছু বিষয়।

মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা

মূলত এডিস মশার কামড় এড়িয়ে চলাই ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান উপায়। এডিস মশা সাধারণত আবদ্ধ পানিতে বংশবৃদ্ধি করে। তাই মশার আবাসস্থল ধ্বংস করে মশার বংশবিস্তার প্রতিরোধ করতে হবে।

আপনার বাড়ির কাছাকাছি কোথাও এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পানি জমে আছে কি না তা খেয়াল রাখুন।

৩ দিন পরপর পানির খালি বোতল, ফুলের টব, ভাঙা বালতি-মগ, পুরোনো টায়ার ও ডাবের খোলা প্রভৃতিতে জমে থাকা পানি ফেলে দিন।

মশা বর্জ্য ও ময়লায় আকৃষ্ট হয়। তাই আপনার বাড়ি ও বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখুন।

মশা নিরোধক ব্যবহার করুন

শরীরের উন্মুক্ত স্থানে মশা ও অন্যান্য পোকামাকড় প্রতিরোধক ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করুন। তবে এগুলো ব্যবহারের সময় শিশুর বয়স ও শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর কি না সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখুন। প্রতিরোধক কেনার সময় প্যাকেটের গায়ে থাকা নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ুন।

মশারি

মশার কামড় থেকে বাঁচতে ঘুমানোর সময় শিশুর বিছানায় মশারি ব্যবহার করুন।

সুরক্ষার জন্য পোশাক

শিশু ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় তাদের যথাসম্ভব গা ঢাকা পোশাক পরান। এক্ষেত্রে ফুলহাতা শার্ট ও টি-শার্ট, ফুল প্যান্ট, লম্বা ঝুলের ফ্রক, মোজা ও জুতা পরান।

ডেঙ্গু সচেতনতা

প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনকে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতন করুন। তাদের বাড়ি-ঘর ও আশেপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্বুদ্ধ করুন।

স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন এবং শিশুর জ্বর হলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব ডেঙ্গু পরীক্ষা করুন।

Comments

The Daily Star  | English

123 individuals 'pushed in' from India

BGB sends protest note to BSF; border on high alert

1h ago