ক্যাপিটল হিলে হামলা

আদালতে হাজিরা দিতে ওয়াশিংটনের পথে ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আজ আদালতে হাজির হতে হবে।

আদালতে হাজির হতে ইতোমধ্যে তিনি নিউজার্সি থেকে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। নিউজার্সির বেডমিনস্টারের গলফ ক্লাব থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১টার পর তিনি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে ওয়াশিংটনের উদেশে রওনা হন।   

ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল আদালতে উপস্থিত হলে ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে সিএনএন জানিয়েছে। 

২০২০ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি হামলা হয় ক্যাপিটল হিলে, যেখানে দেশটির আইনসভা বা কংগ্রেস ভবন অবস্থিত।

ওই নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদনের জন্য মার্কিন আইনপ্রণেতারা যখন পার্লামেন্ট হাউজ ক্যাপিটল হিলে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বসেন, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েকশ উগ্র সমর্থক সেখানে গিয়ে ভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশের বাধা ভেঙে ভবনে ঢুকে পড়ে, ভাঙচুর চালায়। 

ওই ঘটনায় স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের এক তদন্তে সাবেক প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। এগুলো হলো-রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা, দাপ্তরিক কাজে বাধা দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং দাপ্তরিক কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা ও নাগরিক অধিকারের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র। 

ওয়াশিংটনের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে ম্যাজিস্ট্রেট জজ মজিলা উপাধ্যায়ের আদালতে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় ট্রাম্পের হাজির হওয়ার কথা। সেখান থেকে মামলাটি ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট জজ তানিয়া চুটকানের কাছে যেতে পারে।

আদালতে পৌঁছানোর পর ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার করা হবে এবং অফিসিয়াল প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

ট্রাম্প হয়ত নিজেকে নির্দোষ দাবি করবেন এবং ট্রায়ালের আগ পর্যন্ত তাকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে পর্ন তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে হাজিরা দিতে ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট আদালতে যাওয়ার পর গত এপ্রিলে ট্রাম্পকে 'অ্যারেস্ট' করেছিল পুলিশ।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

15h ago