সাঁতারকে পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন: শিক্ষামন্ত্রী
'বাংলাদেশে যারা পানিতে ডুবে মারা যায়, তাদের বেশির ভাগই শিশু। তবে আমাদের সৌভাগ্য যে পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে বাংলাদেশে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছে। পানিতে ডোবা প্রতিরোধে সাঁতারকে পাঠ্যক্রমে সংযুক্ত করাও উচিৎ।'
জাতিসংঘ ঘোষিত 'বিশ্ব পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস ২০২৩' পালন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
গত ২১-২৫ জুলাই পর্যন্ত ৫ দিনব্যাপী বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)। প্রতিযোগিতায় সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি।
স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নির্বাচিত মোট ৯৬টি দল অংশ নেয় এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায়। প্রতিযোগিতায় স্কুল পর্যায়ে বিজয়ী হয়েছে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও রানারআপ হয়েছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল। কলেজ পর্যায়ে বিজয়ী হয়েছে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, রানারআপ হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ কলেজ। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিজয়ী হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রানারআপ হয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'সিআইপিআরবিকে আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা এই ধরণের বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। সবার মধ্যে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে এই ধরণের বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।'
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল। ম্যাট ক্যানেল বলেন, 'বাংলাদেশে পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে দীর্ঘদিন ধরেই সহযোগিতা করে আসছে যুক্তরাজ্য। ইউকেএইড ও রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইন্সটিটিউশনের মাধ্যমে ৬-১০ বছর বয়সী শিশুদের সাঁতার শেখানো, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন এবং কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবকদের ফার্স্ট রেসপন্স ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছে যুক্তরাজ্য।'
ভবিষ্যতেও এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সমাপনী বক্তব্যে সিআইপিআরবির উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. আমিনুর রহমান বলেন, 'পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে ৬টি কর্মপন্থা হাতে নিয়েছে, তার ৩টিই সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ।'
অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও রানার আপ দলের হাতে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও বই তুলে দেন অতিথিরা।
Comments