অ্যাশেজে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ৯৯ রানে অপরাজিত বেয়ারস্টো
স্ট্রাইকে থাকা জেমস অ্যান্ডারসনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেললেন ক্যামেরন গ্রিন। তাতে অলআউট হয়ে গেল ইংল্যান্ড। সঙ্গীর অভাবে অন্যপ্রান্তে থাকা জনি বেয়ারস্টোর খুব কাছে গিয়েও আর সেঞ্চুরি পাওয়া হলো না। ৯৯ রানে অপরাজিত থাকার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি।
শুক্রবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের তৃতীয় দিনে ঘটে এই ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পসরা সাজিয়ে বসা বেয়ারস্টো খেলেন হার না মানা ৯৯ রানের ইনিংস। ইংলিশ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মাত্র ৮১ বল মোকাবিলায় মারেন ১০ চার ও ৪ ছক্কা। ৫১ বলে হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর রীতিমতো বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন তিনি। তবে দুর্ভাগ্যবশত সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া হয়নি তার।
অ্যাশেজ সিরিজে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার হলেন বেয়ারস্টো। এর আগে একবারই এমন কিছু দেখা গিয়েছিল। সেটা ২৮ বছর আগের ঘটনা। ১৯৯৫ সালে পার্থে সাবেক অজি অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ ১৮৩ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
টেস্টে সব মিলিয়ে সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন বেয়ারস্টো। সবার আগে এই হতাশায় পুড়তে হয়েছিল ইংল্যান্ডের জিওফ বয়কটকে। ১৯৭৯ সালে পার্থেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৮৫ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি। তবে ওই ম্যাচটি অ্যাশেজ সিরিজের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। বেয়ারস্টোর আগে সবশেষ এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা হয় পাকিস্তানের মিসবাহ-উল-হকের, ২০১৭ সালে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এই তালিকার বাকিরা হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার শন পোলক ও অ্যান্ড্রু হল এবং ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স টিউডর।
সাতে নামা বেয়ারস্টোর নৈপুণ্যে প্রথম ইনিংসে ৫৯২ রান তোলে ইংল্যান্ড। এতে ২৭৫ রানের বিশাল লিড পায় তারা। শেষ উইকেটে অ্যান্ডারসনের সঙ্গে ৪৯ বলে ৬৬ রানের মারমুখী জুটি গড়েন বেয়ারস্টো। সেখানে পেসার অ্যান্ডারসনের অবদান মাত্র ৫ রান। এই জুটিতে বেয়ারস্টো ৩১ বলে করেন ৫০ রান।
মর্যাদাপূর্ণ অ্যাশেজে ৩৮ বছর পর নিজেদের মাঠে পাঁচশর বেশি রান করল ইংলিশরা। শেষবার এমনটা দেখা গিয়েছিল ১৯৮৫ সালে। এজবাস্টনে তারা ৫ উইকেটে ৫৯৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। ১৯৮৫ সালের পর অ্যাশেজ সিরিজে ছয়বার ইংল্যান্ড পাঁচশর বেশি রান করলেও সেগুলোর সবই ছিল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে।
Comments