পদযাত্রা

নিহত ১, আহত প্রায় ২ হাজার, হামলার প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি আসছে: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বগুড়া জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী | ছবি: সংগৃহীত

সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে ঘোষিত ২ দিনব্যাপী পদযাত্রার প্রথম দিনে দলের একজন কর্মী নিহত ও প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি আরও জানান, বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় পরবর্তীতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বগুড়া জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'পদযাত্রা কর্মসূচিতে আহত হয়েছে বগুড়াসহ সারা দেশে প্রায় ২ হাজার, নিহত হয়েছেন ১ জন লক্ষ্মীপুরের কৃষক দল নেতা সজিব হোসেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সহস্রাধিক বিএনপি নেতা।'

এ সময় তিনি বিভিন্ন জেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বর্ণনা তুলে ধরেন।

ঢাকা-১৭ আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, 'একটি ছেলে যেমনই হোক না কেন, সে তো মানুষ! তার ওপর যে বর্বরোচিত হামলা যারা করতে পারে...তাহলে আগামী জাতীয় নির্বাচন যদি আওয়ামী লীগের অধীনে হয়, তার রূপ কী হতে পারে এটা হচ্ছে তার একটি নমুনা।'

'তাই একদফার আন্দোলন অব্যাহতভাবে চলবে। আমাদেরকে হয়তো আরও হত্যা করবে, আরও রক্ত ঝরাবে। পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, ধলেশ্বরী-করতোয়ায় হয়তো রক্তস্রোত বয়ে যাবে, তারপরও সরকারের পদত্যাগ ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না,' বলেন তিনি।

বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে নতুন কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে কি না জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের রিজভী বলেন, 'আগামীকাল আমাদের কর্মসূচি আছে। এই কর্মসূচি শেষ হোক, তারপর আমাদের নেতাকর্মী বসে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।'

গণমাধ্যমকর্মীদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'গণতন্ত্র কখনো পুলিশের অনুমতির ওপর নির্ভর করে না। মানুষের বাক-স্বাধীনতা সহজাত স্বাধীনতা। যদি পুলিশের অনুমতি নিয়েই করতে হতো তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধ হতো না। এরশাদের পতন হতো না। একটি অত্যাচারী সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই পুলিশের আজ এত ঔদ্ধত্য।'

বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, 'গণতান্ত্রিক সংগ্রামের জন্য কোনো অনুমতির প্রয়োজন হয় না। আমাদের পদযাত্রায় কি কোনো শান্তি ভঙ্গের উদ্রেক হয়েছিল? তারা (নেতাকর্মী) কি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছিল? এটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে, পুলিশের পক্ষ থেকে।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

7h ago