নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস

বিমানের ২৬ কর্মচারীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর

বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, ‘বিমানের গ্রাউন্ড সাপোর্ট কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের’ কারণে এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ছবি: বিমানের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বিমানের সাবেক কর্মকর্তা মেজর তাইজ ইবনে আনোয়ারসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুল হুদা চৌধুরী পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য চার্জশিট পেশ করার পর এ আদেশ দেন।

গত ২ জুলাই ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী।

বিমানের ২৬ জন কর্মচারী এবং অন্যান্য বেসামরিক নাগরিকদেরও একই অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি কমিটির অন্যতম সদস্য অভিযুক্ত মেজর তাইজ ইবনে আনোয়ার বিমানের গ্রাউন্ড সার্ভিস ইকুইপমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এবং নিরাপত্তা বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক ছিলেন।

ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক, ওয়েল্ডার, পেইন্টার, অপারেটর এবং টেইলার্সের ১০টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্তে নাম আসায় মেজর তাইজকে বিমানের পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

গত ১ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ প্রত্যাহার আদেশ জারি করে।

এর আগে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে জাহিদ হোসেনকে অপসারণ করা হয়।

গত বছরের ২১ অক্টোবর এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় শুরুর প্রায় ২ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা স্থগিত হয়।

নভেম্বরের শেষ দিকে মেজর তাইজকে অভিযুক্ত করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় বিমান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর দুপুরের দিকে প্রশ্নপত্র তৈরি কমিটির সদস্যরা তৎকালীন সিইও জাহিদের কক্ষে প্রশ্নপত্র নিরীক্ষার জন্য জড়ো হয়।

প্রশ্নপত্রের একটি প্রিন্ট আউট কপি মেজর তাইজকে দিয়ে সেটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করতে বলা হয়।

কমিটির অন্যতম সদস্য বিমানের প্রোডাকশন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী এ আর এম কায়সার জামান তদন্তকারীদের বলেন, তিনি ওই প্রশ্নপত্রসহ তাইজকে একা ওই কক্ষে রেখে ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন।

তাইজ অবশ্য তদন্ত কমিটিকে বলেছেন যে তার সঙ্গে সবসময় কেউ না কেউ ছিল।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁসে তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

17m ago