সমাবেশ

বিদেশ যেতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তারা ঢাকায় আসছিলেন, সাভারে ‘আটক’

Savar_DS_Map.jpg
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাজধানীতে বিএনপির এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে ঘিরে সাভারে যাত্রী ও সন্দেহভাজন পথচারীদের তল্লাশির সময় ৩ জনকে আটকের অভিযোগ ওঠেছে।

আটককৃতরা হলেন—সিরাজগঞ্জের নগরডুমুরী এলাকার খুচরা যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী সুজায়াত আলীর ছেলে মোহর শেখ ও হৃদয়। এছাড়া তাদের সঙ্গে থাকা রুহুল আমিন নামের আরও একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের সবার বয়স ১৯ থেকে ২০ বছর।

আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাদেরকে আটকের কথা শুনে হৃদয় ও মোহর শেখের বাবা সুজায়াত আলী সিরাজগঞ্জ থেকে সাভারের আমিনবাজারে আসেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের চেকপোস্ট থেকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে।

সুজায়াত আলী অভিযোগ করে বলেন, 'আমার ২ ছেলে আল-খামিস এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাবে। এজন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট ও মেডিকেল চেকআপের জন্য আজ সকালে সিরাজগঞ্জ থেকে বাসে ওঠে। তাদের সঙ্গে থাকা অন্যদের মাধ্যমে জানতে পারি সাভারের আমিনবাজারের চেকপোস্টে থেকে আমার ২ ছেলেকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ।'

'তাদের ২ জনের কাছে নগদ ২২ হাজার টাকা ছিল। ২টি মোবাইল ছিল। এখন পর্যন্ত তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমার ছেলেরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। ওরা ছোট মানুষ। কেন ধরে নিয়ে গেলে বুঝতে পারলাম না,' বলেন সুজায়াত আলী।

হৃদয় ও মোহর শেখের সঙ্গে থাকা আনোয়ার শেখ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ৬ জন বাসযোগে ঢাকার আল-খামিস এজেন্সিতে যাচ্ছিলাম। সেখানে আমাদের মেডিকেল চেকআপ ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার কথা ছিল আজ। কিন্তু আমিনবাজার চেকপোস্টে আমাদের মোবাইল নিয়ে নেয়। পরে হৃদয়, মোহর ও রুহুল আমিনকে নিয়ে যায়। আর আমাদের চলে যেতে বললে আমরা দূরে সরে যাই।'

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, 'আমরা কাউকে আটক করিনি। এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।'

Comments

The Daily Star  | English

Crowd control: Police seek to stop use of lethal weapon

The police may stop using lethal weapons and lead pellets for crowd control as their widespread use during the July mass uprising led to massive casualties and global criticism.

2h ago