টুইটার বনাম থ্রেডস: ফিচারের দিক দিয়ে কে এগিয়ে?

'টুইটার কিলার' খ্যাত থ্রেডস ইতোমধ্যেই নেটিজেনদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। অ্যাপটি উন্মুক্ত হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ কোটিতে। টুইটারের মতো আরও বেশ কিছু অ্যাপ এর আগে বাজারে এলেও এর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা জাগিয়েছে মেটার থ্রেডস।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, সাম্প্রতিক কিছু পরিবর্তনের কারণে টুইটার ব্যবহারকারীরা প্ল্যাটফর্মটির উপর অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছেন। যার ফলে, থ্রেডস এসকল ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে পারে। তবে টুইটারের সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনো বলেছেন, টুইটারকে অনুকরণ করা গেলেও এর কমিউনিটিকে কখনও নকল করা যাবে না।

থ্রেডসের অনেক ফিচার টুইটারের অনুরূপ হলেও, এই ২ প্ল্যাটফর্মের মধ্যে বড় কিছু পার্থক্য রয়েছে। । চলুন দেখে নেওয়া যাক এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপের মধ্যে কোনটি কী  অবস্থানে রয়েছে।

পোস্টে অক্ষরের সংখ্যা

প্রথমত, টুইটারে একজন ব্যবহারকারীকে ২৮০ অক্ষরের মধ্যে পোস্ট করতে হয়। যেখানে থ্রেডসে আপনি ৫০০ অক্ষর পর্যন্ত পোস্ট করতে পারবেন।

ভিডিওর দৈর্ঘ্য

অপরদিকে, টুইটারে আপনি ২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের বেশি দীর্ঘ ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না। কিন্তু, থ্রেডসে আপনি সর্বোচ্চ ৫ মিনিট দীর্ঘ ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। 

ভেরিফিকেশন

থ্রেডসে আপনি ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে বিনামূল্যে ভেরিফিকেশন সুবিধা পেতে পারেন। তবে, টুইটারে ভেরিফিকেশন পাওয়ার জন্যে আপনাকে অর্থ খরচ করতে হবে।

হ্যাশট্যাগ, ট্রেন্ডিং স্টোরি ও ডিরেক্ট মেসেজ

এই সেবাগুলো এখনো থ্রেডসে যোগ করা হয়নি। তবে টুইটারে দীর্ঘ সময় ধরেই এগুলো রয়েছে। এদিক দিয়ে টুইটার এখনও এগিয়ে রয়েছে। তবে ফেসবুকের মতো থ্রেডসেও @ মেনশন কাজ করে।

লিংক ও ছবি

থ্রেডস এবং টুইটার উভয় প্লাটফর্মেই আপনি লিংক ও ছবি পোস্ট করতে পারবেন। পাশাপাশি, পোস্ট ডিলিট করার সুবিধাও পাবেন।

পোস্ট এডিট

থ্রেডস এবং টুইটারের ফ্রি ভার্সানে আপনি পোস্ট এডিট করতে পারবেন না। তবে টুইটার ব্লু'র মাধ্যমে পোস্ট এডিট করার সুবিধা পাওয়া গেলেও সেক্ষেত্রে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে।

ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে টুইটার এখনও এগিয়ে থাকলেও, টুইটারের নেওয়া সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলো টুইটারকে প্রতিকূল অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। মার্ক জাকারবার্গের থ্রেডসের এই আবির্ভাবকে ইলন মাস্কের টুইটার কীভাবে মোকাবেলা করবে, তা উদ্ঘাটন হওয়া এখন সময়ের দাবি।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

গ্রন্থনায়: আহমেদ বিন কাদের অনি

 

Comments

The Daily Star  | English

US-China tariff war punishes Bangladesh

Bangladesh is one of those nations that face pressure from Washington to decouple their manufacturing industries from Chinese suppliers, according to officials familiar with trade negotiations.

12h ago