ভাগনার বাহিনীর বিদ্রোহের কথা হোয়াইট হাউস আগেই জানতো

রসতোভ-অন-ডন শহরে ভাগনারের সদস্যদের সঙ্গে বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন। ছবি: রয়টার্স
রসতোভ-অন-ডন শহরে ভাগনারের সদস্যদের সঙ্গে বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থারা বেশ কয়েকদিন আগেই ইঙ্গিত পেয়েছিল যে ভাড়াটে সেনাদল ভাগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

আজ রোববার বার্তাসংস্থা এএফপি যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ বিষয়টি জানিয়েছে।

ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা প্রিগোঝিনের কার্যক্রম শুরুর এক দিন আগেই হোয়াইট হাউজ, পেন্টাগন ও ক্যাপিটল হিলে এ বিষয়ে ব্রিফিং এর আয়োজন করেছে।

জুনের মাঝামাঝি সময় থেকেই প্রিগোঝিন রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধাচরণের পরিকল্পনা করেন। সে সময় থেকেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ বিষয়টির ওপর নজর রাখতে শুরু করে।

গোয়েন্দা বাহিনীর কাছ থেকে আসা তথ্যগুলো গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে গুরুতর হয়ে দাঁড়ায় এবং এ কারণেই জরুরি ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়।

খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভাগনার প্রধান তার দল সহ বিদ্রোহ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্য এ বিদ্রোহের অবসানও ঘটে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় চুক্তির ফলে ভাগনার প্রধান এখন তার সেনাদের নিয়ে বেলারুশ যাচ্ছেন।

গতকাল রুশ বার্তা সংস্থা আরটি ক্রেমলিন সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, ভাগনার প্রধান প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি মামলা তুলে নেওয়ার পাশাপাশি তাকে রাশিয়া ছাড়তে বলা হয়েছে।

ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, সেন্ট পিটার্সবার্গের ধনকুবের প্রিগোঝিন 'বেলারুশে যাবেন'।

তিনি আরও জানান, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে অবদানের কথা বিবেচনায় রেখে ভাগনার গ্রুপের সেনাদের বিচার করা হচ্ছে না।

যখন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা প্রিগোঝিনের সামরিক উদ্যোগের বিষয়টি সম্পর্ক নিশ্চিত হন, তখন তারা পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন দেশটিতে সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ গোলযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

মার্কিন গোয়েন্দারা জানতে পারেন, পুতিনের তার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগীর 'বিশ্বাসঘাতকতার' বিষয়টিও অন্তত এক দিন আগেই জানতে পেরেছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Trump says US strikes caused 'monumental damage' to Iran nuclear sites

JD Vance says US at war with Iran's nuclear programme, not Iran

1d ago