বাখমুতের কয়েকটি এলাকা থেকে রুশ সেনা হটানোর দাবি

বাখমুতে তীব্র লড়াই
বাখমুত শহরের কাছে ইউক্রেনীয় সেনা। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

তুমুল লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে পূর্ব ইউক্রেনের দখলকৃত বাখমুত অঞ্চলের কয়েকটি এলাকা থেকে রুশ সেনা হটানোর দাবি করেছেন ইউক্রেনের এক শীর্ষ জেনারেল।

একই সময়ে হোয়াইট হাউস দাবি করেছে যে ইউক্রেন যুদ্ধে গত ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছেন।

গতকাল সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১০ মাস ধরে পূর্ব ইউক্রেনীয় শহর বাখমুতের দখল নিয়ে ইউক্রেনীয় ও রুশ সেনাদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। বিবদমানপক্ষগুলোর কাছে কৌশলগত এই শহরটির নিয়ন্ত্রণ 'প্রতীকী গুরুত্ব' বাড়িয়ে দিয়েছে।

ইউক্রেনের স্থলবাহিনীর কমান্ডার কর্নেল জেনারেল ওলেকসান্ডার সিরস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে বলেছেন, 'বাখমুতের পরিস্থিতি এখনো জটিল। সম্প্রতি, শহরের কয়েকটি অংশে শত্রুদের ওপর হামলা চালানোয় তারা সেখান থেকে সরে গেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'অনেক হতাহতের পরও বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নিতে রাশিয়া সেখানে নতুন নতুন সেনা পাঠাচ্ছে। তবুও তারা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি।

গতকাল ভাড়াটে সেনাদের বাহিনী ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন টেলিগ্রাম বার্তায় বলেন যে, বাখমুতে হামলা চালাতে তার সেনাদের প্রতিদিন অন্তত ৩০০ টন গোলা প্রয়োজন। কিন্তু, পাওয়া যাচ্ছে এর মাত্র ৩ ভাগের এক ভাগ।

'দিনে ৩০০ টন গোলা ১০টি কার্গো কন্টেনারে আনা যায়। এটা এমন কিছু নয়,' যোগ করেন তিনি।

রুশ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভাগনার গ্রুপের দ্বন্দ্বের কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় অপর এক পোস্টে তিনি বলেন, '৮৬ যোদ্ধার জীবনের বিনিময়ে আমরা বাখমুতে ১২০ মিটার এলাকা দখল নিতে পেরেছি।'

একই দিনে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়ার রসদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধে গত ৫ মাসে অন্তত ১ লাখ রুশ সেনা হতাহত হয়েছে। নিহত ২০ হাজারের মধ্যে অর্ধেক ভাগনার গ্রুপের ভাড়াটে সেনা।

কিয়েভ গত ১৫ মাসের যুদ্ধে রুশ দখলে থাকা পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে নতুন করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

3h ago