ইউক্রেন বিষয়ে শান্তিচুক্তি প্রস্তাব করবে যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স: স্টারমার

ডাউনিং স্ট্রিটে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনে শান্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে গত এক মাসে রাশিয়াকে সঙ্গে নিয়ে একতরফা কিছু প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই আলোচনায় ইউক্রেনের অংশগ্রহণ নেই বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

আজ রোববার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জানান, ইউক্রেনকে নিয়ে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য একটি শান্তিচুক্তি প্রস্তাব করবে, যা পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পেশ করা হবে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, ইউক্রেনে শান্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ এক জরুরি সম্মেলনে পশ্চিমা নেতাদের লন্ডনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন স্টারমার। এই সম্মেলনে কিয়েভকে সমর্থন দিতে ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টারমার বলেন, যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতেই যুক্তরাষ্ট্রকে এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে রাশিয়া আবার ইউক্রেনে হামলা চালাবে না।

সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, 'ইউরোপের এমন সব দেশকে খুঁজে বের করতে হবে যারা (শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে) আরও সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসতে প্রস্তুত।'

'যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স এ ব্যাপারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এ কারণেই প্রেসিডেন্ট মাখোঁ এবং আমি এই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। আমরা পরে এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করব,' যোগ করেন তিনি।

ইউক্রেনে একটি ইউরোপীয় শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব করছেন স্টারমার ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা। স্টারমারের মতে, সেখানে শান্তিচুক্তি কেবল তখনই কার্যকর হবে, যখন শান্তিরক্ষা বাহিনীকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

'আমি সবসময় বলে এসেছি, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া এটা সম্ভব না,' বলেন স্টারমার।

শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির উত্তপ্ত বৈঠকের পরদিনই জেলেনস্কিকে ডাউনিং স্ট্রিটে স্বাগত জানান স্টারমার। সেদিন তিনি ট্রাম্প ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গেও কথা বলেছেন বলে জানায় রয়টার্স।

Comments

The Daily Star  | English
US airstrike on Iran

Strikes on Iran mark Trump's biggest, and riskiest, foreign policy gamble

The dramatic US strike, including the targeting of Iran’s most heavily fortified nuclear installation deep underground, marks the biggest foreign policy gamble of Trump’s two presidencies and one fraught with risks and unknowns.

1h ago