ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় মস্কোর ৪ বিমানবন্দর সাময়িক বন্ধ

মস্কোর প্রধান বিমানবন্দর শেরেমেৎইয়েভো। ফাইল ছবি: রয়টার্স
মস্কোর প্রধান বিমানবন্দর শেরেমেৎইয়েভো। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর সবগুলো বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল বড় আকারে বিঘ্নিত হয়েছে। সাময়িকভাবে বন্ধ হয়েছে চারটি বিমানবন্দরের কার্যক্রম। 

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মস্কোর আকাশে ৩৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। 

সব মিলিয়ে, মোট ১০৫টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে মন্ত্রণালয়।

সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রামে মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন জানান, 'যেসব জায়গায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ড্রোনের অংশবিশেষ পড়েছে, সেখানে জরুরি সেবাদাতা সংস্থার বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন।'

একদিন আগে ২৭টি ড্রোন দিয়ে মস্কোর ওপর হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেন।

এর আগে সপ্তাহান্তে রেকর্ড সংখ্যক ড্রোনের ব্যবহারে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলা চালায় রাশিয়া।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া আগ্রাসন শুরু করে। ইউক্রেন-রাশিয়ার এই যুদ্ধে পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলা এখন দৈনন্দিন ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

তবে সরাসরি মস্কো লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা বেশ বিরল।

মস্কোর প্রধান বিমানবন্দর শেরেমেৎইয়েভো। ফাইল ছবি: রয়টার্স
মস্কোর প্রধান বিমানবন্দর শেরেমেৎইয়েভো। ফাইল ছবি: রয়টার্স

রুশ বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা রোসাভিয়াৎসিয়া জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার মস্কোর একাধিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়।

শহরের প্রধান বিমানবন্দর শেরেমেৎইয়েভোর পাশাপাশি নুকোভো, দোমোদেদোভো ও ঝুকভস্কি বিমানবন্দরেও উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই কিয়েভ-মস্কোর মধ্যে অবিলম্বে ও বিনা শর্তে যুদ্ধবিরতি চালুর চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি দুই ঘণ্টা পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প।

তবে এখনো যুদ্ধবিরতি চালুর উদ্যোগে তেমন সাড়া দেননি পুতিন। বরং বাড়িয়েছেন হামলার মাত্রা।

এ মুহূর্তে ২০১৪ সালে দখল করা ক্রিমিয়াসহ ইউক্রেনের মোট ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার দখলে আছে।

ধারণা করা হয়, এই যুদ্ধে উভয় পক্ষের হাজার দশেক মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে নিহতের সঠিক সংখ্যা অজ্ঞাত।

পাশাপাশি, এই যুদ্ধে লাখো মানুষ নিজ বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে এবং পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের অসংখ্য বাড়ি ও গ্রাম ধ্বংস হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Rice prices remain rigid, warranting a close look: GED

Rice contributed 40% to food inflation in May, which hit 50% in June

1h ago